TMC Leader Arrested: বাড়ির ৫০ মিটারের মধ্যেই বারুদের স্তুপ, আতঙ্কে জুবুথুবু গ্রামবাসীরা, কে এই তৃণমূল নেতা?

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Jun 03, 2022 | 4:47 PM

Hingalganj news: বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ থানা এলাকার সান্ডেলেরবিলে তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির স‍দস‍্য ইকবাল আহমেদ ওরফে মুকুল। তাঁর স্ত্রী আরুফা বিবি আবার সান্ডেলেরবিল গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বাঁকড়া গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যা।

TMC Leader Arrested: বাড়ির ৫০ মিটারের মধ্যেই বারুদের স্তুপ, আতঙ্কে জুবুথুবু গ্রামবাসীরা, কে এই তৃণমূল নেতা?
গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

Follow Us

বসিরহাট : হিঙ্গলগঞ্জ বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে একজনের। অন্য একজনের হাত উড়ে গিয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। জখম হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। এমনকী একজনের কোনও খোঁজ মিলছে না। এই ঘটনা ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মুকুলের নাম। স্থানীয় ও পুলিশের সূত্র পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই মুকুলের বাড়ির ৫০ মিটারের মধ্যেই আপছার গাজির বাড়িতে বোমা বাধা হচ্ছিল। কিন্তু কে এই মুকুল? বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ থানা এলাকার সান্ডেলেরবিলে তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির স‍দস‍্য ইকবাল আহমেদ ওরফে মুকুল। তাঁর স্ত্রী আরুফা বিবি আবার সান্ডেলেরবিল গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বাঁকড়া গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যা।

প্রশ্ন উঠছে, একজন পঞ্চায়েত সদস্যা ও তাঁর স্বামী, যিনি এলাকার একজন দাপুটে তৃণমূল নেতা – তাঁদের বাড়ির মাত্র ৫০ মিটারের মধ্যেই যেখানে বোমা বাধা হচ্ছে, সেই খবর কি সত্যিই রাখতেন না তাঁরা? যদিও এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ইকবাল আহমেদ ওরফে মুকুলকে গ্রেফতার করেছে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ। কিন্তু এই মুকুল কে? এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী আরুফা বিবি সান্ডেলেরবিল গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা এবং তিনি নিজে একাধারে যেমন ঠিকাদার সংস্থার মালিক, অন‍্যদিকে আবার হেল্থ পলি ক্লিনিক সহ একাধিক ব্যবসাও চালান। যদিও এলাকাবাসীরা দাবি করছেন, মুকুল নিজের সাম্রাজ্য বিস্তার করতে চেয়েছিল গোটা বাঁকড়া গ্রাম জুড়ে। একাধিকবার গ্রামবাসীরা রুখে দাঁড়ালেও তাঁদের ভয় দেখিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রেখে দেওয়া হত। এমনকী মারধর ও গালিগালাজও করত বলে অভিযোগ। তার ভয়েই নাকি গ্রামবাসীরা মুখে কুলুপ এঁটে রাখতে বাধ্য হত।

কিন্তু এই বিস্ফোরণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশ তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত মুকুলকে চিহ্নিত করে এবং গ্রেফতার করে। ধৃতকে শুক্রবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। কিন্তু এত বোমা তৈরির সঠিক কারণ কী? সেটা নিয়েই সন্দিহান গ্রামবাসী থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসন। এই বোমাগুলি কি এলাকার মানুষদের ভয় দেখানোর কাজে ব্যবহার হয়? নাকি কোনও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ছিল? নাকি এর পেছনে রয়েছে বোমা পাচারের কোনও চক্র? সেই সবের উত্তর খোঁজাার চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য সপ্তাহ খানেক আগেই একটি পুকুরের ঘাট সংস্কারকে কেন্দ্র করে দুই ঠিকাদার সংস্থার মধ্যে বিবাদ বেঁধেছিল। এই বোমা বাঁধার কাজের সঙ্গে এই বিবাদের কোনও যোগ রয়েছে কি না, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এলাকায়। আপছার গাজির বাড়িতে বোমা বাঁধার খবর কি জানতেন ওই তৃণমূল নেতা? পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ। এদিকে ওই ঘটনার পর থেকেই বাড়ির মালিক আপছার গাজি পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ।

যদিও গোটা ঘটনায় কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে আক্রমণের সুযোগ ছাড়েনি বিজেপি শিবির। বিজেপি বসিরহাট সাংগঠিনক জেলার সভাপতি পলাশ সরকার জানিয়েছেন, “সারা পশ্চিমবঙ্গ বারুদের আগ্নেয়গিরির উপর দাঁড়িয়ে আছে। হিঙ্গলগঞ্জের ঘটনা আমাদের প্রচণ্ড ভাবাচ্ছে। একজন তৃণমূল নেতার বাড়ির পিছনে কীভাবে বোমা বাঁধতে গিয়ে একজনের মৃত্য হল? সীমান্তবর্তী বিধানসভা কেন্দ্র হিঙ্গলগঞ্জে শাসক মদত ছাড়া কোনওভাবেই এই ধরনের কুটির শিল্প গড়ে ওঠে না। আসলে এই ঘটনায় যারা জড়িত, তারা বার বার ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে বলেই এই ধরনের দুষ্কর্ম করার সাহস দেখাচ্ছে। দোষীদের নিরপেক্ষ সাজার দাবি করছি।”

এদিকে বিষয়টি নিয়ে হাসনাবাদের এসডিপিও দেবরাজ ঘোষ জানিয়েছেন, ঘটনাটির তদন্ত চলছে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনই আর কিছু বলতে চাইছেন না তিনি।

Next Article