হালিশহর : সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর বঙ্গ রাজনীতির চর্চায় উঠে এসেছে তৃণমূল নেতা তথা হালিশহর পুরসভার পুর প্রধান রাজু সাহানি। পুরপ্রধানের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, বাড়ি থেকে মিলেছে নগদ ৮০ লক্ষ টাকা। তবে রাজুর কোনও কেলেঙ্কারির কথা জানতেন না প্রতিবেশীরা। ছেলেবেলা থেকে যে প্রতিবেশীরা তাঁকে বড় হতে দেখেছেন, তাঁরা ভাবতেই পারছেন না, রাজুর বিরুদ্ধে এমন কোনও অভিযোগ থাকতে পারে।
হালিশহরে একটা পুরনো বাড়ি রয়েছে রাজু সাহানির। এটাই তাঁর পৈতৃক বাড়ি। এখানেই ছেলেবেলা কেটেছে তাঁর। এলাকার বাসিন্দাদের থেকে জানা যায়, বাবা রাজনীতি করলেও রাজুর আকর্ষণ ছিল গ্ল্যামার দুনিয়া। সেই হাতছানিতেই দক্ষিণে পাড়িও দিয়েছিলেন তিনি। জানা যায়, বেঙ্গালুরুতে গিয়ে বেশ কিছুদিন ছিলেন রাজু। মডেলিং করতেন সেখানে। কোনও এক দক্ষিণী ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বলেও শোনা যায়। কিন্তু বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ে পড়ায় ফিরে আসতে হয় তাঁকে।
রাজু সাহানির অপর ভাই বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে কর্মরত। তবে রাজু বাবার হাত ধরেই রাজনীতির ময়দানে প্রবেশ করে কম বয়সেই। তাঁর বাবা লক্ষণ সাহানি একসময় সিপিএম নেতা ছিলেন। পরে ২০১০ সালে তৃণমূলে যোগ দেন। সেই সময় থেকেই বাবার সঙ্গে রাজনীতি শুরু করেন রাজু।
প্রতিবেশীদের মধ্যে অনেকেই বলছেন, রাজু ছিলেন লাজুক স্বভাবের ছেলে। অত্যন্ত ভদ্র বলেই পরিচিতি রয়েছে এলাকা। অনেকেই বলছেন, পরোপকারী হিসেবেও তাঁকে চিনতেন এলাকার বাসিন্দারা। অন্যের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়তেন রাজু। এক প্রতিবেশীর দাবি, রাজুর বাবার অনেক সম্পত্তি ছিল, তাই রাজুর কাছে সম্পত্তি থাকাটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। রাজুর কাছে লক্ষাধিক টাকা মিলেছে জেনেও অবাক হচ্ছে না তাঁরা। কী ভাবে রাজু এমন অভিযোগে জড়ালেন, তা ভেবে অবাক হচ্ছেন তাঁরা।
এ দিকে, শনিবার আদালতে যাওয়ার সময় রাজু দাবি করেছেন, তিনি নির্দোষ, এ সবের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। এ দিন সিবিআইয়ের গাড়িতে বসে রাজু সাহানি বলেছেন, ‘আমি এসবের সঙ্গে যুক্ত নই। আপনারা খুব শিগগিরিই বুঝতে পারবেন সবটা।’