বনগাঁ: পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তরবঙ্গ থেকে নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। সেই কর্মসূচি সফল করতে বিভিন্ন জেলায় প্রস্তুতি সভার আয়োজন করেছে শাসকদলের নেতারা। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ গোপালনগর ১ এবং ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ স্তরের কর্মীদের নিয়ে আয়োজিত হয়েছিল এ রকমই প্রস্তুতি সভার। বুধবার গোপালনগর হাই স্কুলের মধ্যে হয় সেই প্রস্তুতি সভা। সভায় উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান শ্যামল রায় সহ অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেই সভা থেকেই অনুপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন বাগদার বিধায়ক। যাঁরা বুধবারের এই প্রস্তুতি সভায় যে সমস্ত বুথ সভাপতি আসেননি, তাঁদের এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্বজিৎ।
এই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস পঞ্চায়েতের বুথ সভাপতিদের নাম ধরে ধরে উপস্থিতি পরীক্ষা করেন। তার পরেই তিনি গোপালনগার ১ ও ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সৌমেন দত্ত ও নিশীথ বালাকে নির্দেশ দেন যারা আসেনি তাদের ১ সপ্তাহের মধ্যে বুথ সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে অন্যদেরকে দায়িত্ব দেবার জন্য। তারা যাদের নাম পাঠাবেন সেই নামেই জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সিলমোহর দেবে বলেও জানিয়েছেন বিশ্বজিৎ। এ নিয়ে এই বিষয়ে বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেছেন, “এতদিন বুথ সভাপতিদের তেমন গুরুত্ব ছিল না। বুথ সভাপতির গুরুত্ব তাঁরা বুঝতে পারেনি। আজকের সভায় যে সমস্ত বুথ সভাপতি আসেনি ও যে অঞ্চল সভাপতি আসেনি তাদেরকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সরিয়ে দেবার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।”
এই বিষয়ে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল। তিনি বলেছেন, “এখন আর কেউ চোরেদের দলে থাকতে চাইছে না। আগামী পঞ্চায়েতে প্রার্থী খুঁজে পাবে না তৃণমূল।”