জগদ্দল: শুক্রবার রাতে জগদ্দলে বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে হরেরাম সাউয়ের দেহ। প্রাথমিক অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোটও। হরেরাম ওরফে অভিষেক সাউ সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছেন, ভিকির খুনের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। যদিও সেই সুইসাইড নোট হরেরামেরই লেখা কি না, সেটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, ভিকি খুনের ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাক পড়েছিল এই যুবকের। এরমধ্যেই এই আত্মহত্যার ঘটনা নতুন করে নাড়িয়ে দিয়েছে জগদ্দলকে। শুধুমাত্র জিজ্ঞাসাবাদের কারণেই এমন চরম সিদ্ধান্ত? কেন এই পথ বেছে নিল হরেরাম সাউ? বিষয়টি বেশ রহস্যজনক বলেই মনে করছেন জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম।
হঠাৎ করে এলাকার এক যুবকের এভাবে মৃত্যুতে ভীষণ মর্মাহত বিধায়ক। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক বলেও জানাচ্ছেন তিনি। বিধায়কের বক্তব্য়, “মৃত্যুর সময় কেউ যদি কোনও কথা বলে যায়, সেটা বিশ্বাস করা উচিত। ঘটনায় দু’জন ধরা পড়েছে রিঙ্কু ও রঈস আলি। রিঙ্কুই এই ছেলেটির নাম বলেছিল এবং তার বাড়িতে নিয়ে যায় পুলিশকে। হয়ত পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে রিঙ্কু। নাহলে ছেলেটি কেন আত্মহত্যা করবে? ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। কিছু না কিছু তো নিশ্চয়ই রয়েছে। পুলিশ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে। পুলিশের উদ্দেশে আমার অনুরোধ, বিষয়টি যাতে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়।”
প্রসঙ্গত, সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ভাইপোর ঘনিষ্ঠ ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তোলপাড় হচ্ছে জগদ্দল। গত মঙ্গলবার ভিকিকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। সেই ঘটনার মধ্যেই এবার বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হল হরেরাম সাউয়ের দেহ।