বেলঘড়িয়া: দুর্গাপুজোর পর জেলায় জেলায় তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী চলছে। মন্ত্রীর গ্রেফতারিতে যখন বিরোধীরা নাগাড়ে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছে, তখন লোকসভা ভোটের মুখে বিজয়া সম্মিলনীকে হাতিয়ার করে জনসংযোগে আরও জোর দিচ্ছে তৃণমূল। এসবের মধ্যেই মঙ্গলবার তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের গলায় আত্ম-সমালোচনার সুর শোনা গেল। বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সতর্ক করে দিলেন সৌগতবাবু। বললেন, “আমরা অনেকে নিজেদের ঠিক মতো রাখছি না। আমাদের দেখতে হবে যাতে আমাদের আচার ব্যবহারে সাধারণ মানুষ দুঃখ না পায়।”
সাংসদ সৌগত রায় এদিন দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে সতর্কবাণী দিয়ে আরও বলেন, “আমরা যেন মনে না করি যে একটু ক্ষমতা পেয়েছি বলে, আমাদের কেউ কিছু বলার নেই। মানুষ কিন্তু ঠিক সময় যা বলার বলে দেয়।” একইসঙ্গে দলীয় কর্মীরা যাতে নিজেদের শুধরে নেয়, সেই বার্তাও দিলেন বর্ষীয়ান সাংসদ।
সম্প্রতি রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তবে সেই গ্রেফতারির ইস্যুতে তৃণমূলের অবস্থান ইতিমধ্যেই স্পষ্ট। গ্রেফতারির পর জ্যোতিপ্রিয়র প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিল, চক্রান্ত করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগ তুলছে তৃণমূল শিবিরও। সেই নিয়ে জেলায় জেলায় মিছিলও হয়েছে। জ্যোতিপ্রিয় প্রসঙ্গে দলের এই অবস্থানের কথা জানিয়েও অতীতে যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে দল খড়্গহস্ত হতে দ্বিধা করেনি, সেকথাও বুঝিয়ে দিয়েছেন বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। মনে করিয়ে দিলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাপারে দল তাঁকে সমর্থন করেনি। তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।”
যদিও বর্ষীয়ান সাংসদের এই আত্ম সমালোচনার সুরকে নেতার ব্যক্তিগত মতামত বলেই জানাচ্ছেন মদন মিত্র। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক বললেন, “সৌগত রায় একজন প্রবীণ নেতা। দলের ব্যাপারে তাঁর কী বক্তব্য, সেটা তিনি বলতেই পারেন। কিন্তু সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার।”