Sodepur Home: অসম থেকেও মেয়েদের আনা হত, অভিযোগ, অনুদানের টাকায় ফুলে ওঠেন ‘বড়মা’

Deeksha Bhuiyan | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 07, 2023 | 4:22 PM

Sodepur Home: শর্মিলা হোম দেখিয়ে যে অ্যাকাউন্টে টাকা সংগ্রহ করেন, তা নিয়ে মায়াপুরে নিজের নামে সম্পত্তি কিনেছেন। সেই বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন। সেই জমির দলিল এসেছে TV9 বাংলার হাতে

Sodepur Home: অসম থেকেও মেয়েদের আনা হত, অভিযোগ, অনুদানের টাকায় ফুলে ওঠেন বড়মা
আশ্রমের আড়ালে চলত কী?
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

সোদপুর: আশ্রম অথচ সিসিআই হোম! এই দাবি করে খোলা হয়েছিল ওয়েবসাইট। সেই ওয়েবসাইটে ছবি দেওয়া হয় আবাসিক বাচ্চাদের। এই ছবি দেখিয়েও ডোনেশন চাইতেন সোদপুরের মুরাগাছার সেই হোমের মালকিন। আর তাবড় নেতারা ডোনেশন দিতেনও। সেই টাকায় ফুলেফেঁপে উঠছিলেন হোমের মালকিন শর্মিলা দাসী। মুরাগাছার পেয়ারাবাগান এলাকার হোম নিয়ে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য এল TV9 বাংলার হাতে। এই হোমেরই এক নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে। পরে তাকে অন্যত্র সরানো হয়। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই এই হোম সংক্রান্ত পেঁয়াজের খোলার মতো তথ্য বেরোচ্ছে।

আরও অভিযোগ, শর্মিলা হোম দেখিয়ে যে অ্যাকাউন্টে টাকা সংগ্রহ করেন, তা নিয়ে মায়াপুরে নিজের নামে সম্পত্তি কিনেছেন। সেই বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন। সেই জমির দলিল এসেছে TV9 বাংলার হাতে। বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসছে। সিসিআই হোম খুলতে গেলে জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট মেনে সরকারি ছাড়পত্র লাগে। কিন্তু এক্ষেত্রে কাগজ নেই। আশ্রম কীভাবে হোম হয়ে গেল? প্রশ্ন উঠছে।

আরও অভিযোগ, অসমের থেকে বাচ্চা মেয়েদের এনে এই হোমে রাখা হত। কোন উদ্দেশ্যে? সে প্রশ্নও উঠছে। এ প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হয়েছিল হোমের কর্ণধার শর্মিলা দেবী দাসীর সঙ্গে।  কাগজপত্র প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমাদের যে দাদা এসব দেখাশোনা করেন, তিনিই সব থেকে ভাল জানেন। অনুমোদন রয়েছে।”

অনুমতিহীন এই হোম ১০-১২ বছর ধরে চলে আসছে বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। জেলার সরকারি এক আধিকারিক বলেন, “ওরা কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর বিষয়টা আর এগোয়নি।” অর্থাৎ অনুমতি যে তারা পায়নি, সেটা স্পষ্ট করলেন সরকারি আধিকারিক। তবে এবিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ঘাড়ে দায় ঠেলেন।

Next Article