Sougata Roy on Shankudeb Panda: ‘বিজেপির রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে গিয়েছে, সবাই তৃণমূলে ফিরবে’

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Jan 10, 2022 | 1:29 PM

Bengal BJP: বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চার যে ক’টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে, সবগুলি থেকেই রবিবারই ‘লেফট’ করে যান শঙ্কুদেব পণ্ডা। তবে শঙ্কুই প্রথম নন, এর আগে এইভাবে গ্রুপ ত্যাগ করেছেন বিজেপির পাঁচ মতুয়া বিধায়ক এমনকী খোদ সাংসদ কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও।

Sougata Roy on Shankudeb Panda: বিজেপির রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে গিয়েছে, সবাই তৃণমূলে ফিরবে
মুখ খুললেন সৈগত, নিজস্ব চিত্র

Follow Us

উত্তর ২৪ পরগনা:  বঙ্গ বিজেপিতে বিদ্রোহ অব্যাহত। রবিবারই দলের হোয়াটস্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন শঙ্কুদেব পণ্ডা। বিজেপি যুব মোর্চার সব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, দলের কোনও পদেই ছিলেন না তৃণমূল (TMC) থেকে গেরুয়া শিবিরে (BJP) আসা শঙ্কু। রাজনৈতিক মহলের জল্পনা ‘গুরু’ মুকুল রায়ের মতোই নিজের পুরনো ঘরে ফিরতে পারেন শঙ্কু। আর সেই জল্পনা আরও উস্কে দিলেন সাংসদ সৌগত রায়।

সৌগত বলেন, “বিজেপির অন্দরে রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া একে একে সব নেতাই ফিরে আসবে। তবে তৃণমূল তাঁদের দলে নেবে কি না তা উচ্চ নেতৃত্ব ঠিক করবে। কিন্তু, সবাই আগামিদিনে তৃণমূল কংগ্রেসেই যোগদান করবে।”

সৌগতর এই মন্তব্যকে যদিও গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, “বিজেপির তো তবু রক্তক্ষরণ শুরু হল, আর ওঁদের তো রক্তই শুকিয়ে গিয়েছে!” এখানেই শেষ নয়, দলের নেতাদের এভাবে ‘গ্রুপত্যাগী’ হওয়া প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেছেন দিলীপ। তিনি  বলেন, “আমারও মাঝেমধ্যে মনে হয় গ্রুপ লেফট করি। তাহলে কী হবে? তাহলে কেবল খবর হবে। সংবাদমাধ্যমের নজরে আসব। এর চেয়ে বেশি কিছু হবে না। কারণ, গ্রুপ লেফট করে সমস্যা সমাধান বা পদপ্রাপ্তি কোনওটাই হয় না। উল্টে অসম্মানিত হতে হয়। দলের অন্দরে কোনও সমস্যা তৈরি হলে সেটা ভেতরেই মিটিয়ে নেওয়া ভাল। সেই সুযোগও রয়েছে।”

অন্যদিকে, শঙ্কুদেবের গ্রুপ ত্যাগ নিয়ে প্রশ্ন করতেই সাংবাদিকদের উপরেই কার্যত খানিকটা ‘খাপ্পা’ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সপাটে সাংবাদিককে উত্তর দিয়ে বলেন, “আপনাকে ভাবতে হবে না। ৩৫ বছর পর্যন্ত যাদের বয়স বিজেপির যুব মোর্চা তাঁরা করবেন। শঙ্কুর বয়স ৩৫ পেরিয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই যুব মোর্চার যে কমিটি নতুন করে হচ্ছে তাতে বয়স অনুযায়ী হচ্ছে। দল হয়ত শঙ্কুকে অন্য কোথাও কাজে লাগাবে। এটা নিয়ে মিডিয়ার এত ভাবার কিছু নেই। মিডিয়া কোভিড নিয়ে ভাবুক। কে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে ঢুকল, কে বেরোল এটা আপনাদের কাজ নয়। এটা বিজেপির কাজ, বিজেপি ভাল জানে।”

প্রসঙ্গত বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চার যে ক’টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে, সবগুলি থেকেই রবিবারই ‘লেফট’ করে যান শঙ্কুদেব পণ্ডা। তবে শঙ্কুই প্রথম নন, এর আগে এইভাবে গ্রুপ ত্যাগ করেছেন বিজেপির পাঁচ মতুয়া বিধায়ক এমনকী খোদ সাংসদ কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও। রবিবারই, ঠাকুর নগরে শান্তনুর বাড়িতে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকও বসে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সায়ন্তন বসু ও রীতেশ তিওয়ারি-সহ বেশ কিছু নেতৃবৃন্দও। তবে সেই বৈঠক কী নিয়ে সে ব্যাপারে এখনও মুখ খোলেননি কেউ।

আরও পড়ুন: Dilip Ghosh on Shantanu Thakur: ‘আমারও মাঝেমাঝে মনে হয়, গ্রুপ লেফট করি, তাহলে…’

 

Next Article