Madan Mitra: মদনের কামারহাটিতেও TMC বনাম TMC, অভিনেত্রী-কাউন্সিলরকে হেনস্থার অভিযোগ দাপুটে নেতার বিরুদ্ধে

Ananta Chattopadhyay | Edited By: জয়দীপ দাস

Jul 01, 2024 | 5:39 PM

Madan Mitra: শ্রীপল্লির কাজের খোঁজ-খবর নিতে গিয়েছিলেন শ্রীতমা দেবী। অভিযোগ, পল্লী কমিটি প্রেসিডেন্ট ও তাঁর দলবল তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। গালিগালাজও করা হয়। এমনকী তাঁর পায়ে পা দিয়েও চলে যান।

Madan Mitra: মদনের কামারহাটিতেও TMC বনাম TMC, অভিনেত্রী-কাউন্সিলরকে হেনস্থার অভিযোগ দাপুটে নেতার বিরুদ্ধে
বাম দিকে লালমোহন, ডানদিকে শ্রীতমা ভট্টাচার্য
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

কামারহাটি: ফের তৃণমূল বনাম তৃণমূল। এবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ কামারহাটিতে। কামারহাটি পৌরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হেনস্থার অভিযোগ। শ্রীপল্লি কমিটির খোঁজ নিতে গিয়ে কাউন্সিলর তথা অভিনেত্রীকে গালিগালাজের অভিযোগ। অভব্য আচরণের অভিযোগ শ্রীপল্লি কমিটির প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। বেলঘড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কাউন্সিলর শ্রীতমা ভট্টাচার্য। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। দায় উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অমিত সাহা ওরফে লালমোহন।

সূত্রের খবর, শ্রীপল্লির কাজের খোঁজ-খবর নিতে গিয়েছিলেন শ্রীতমা দেবী। অভিযোগ, পল্লী কমিটি প্রেসিডেন্ট ও তাঁর দলবল তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। গালিগালাজও করা হয়। এমনকী তাঁর পায়ে পা দিয়েও চলে যান। প্রতিবাদ করলে তাঁকে মারতেও গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এদিকে যে লাল মোহনের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ সেই লাল মোহনই আবার নির্বাচনের সময় শ্রীতমা ভট্টাচার্যের ইলেকশন এজেন্টও ছিলেন বলে খবর। তাঁর বিরুদ্ধেই গুরুতর অভিযোগ করছেন শ্রীতমা। তিনি বলছেন, সবটাতেই উস্কানি দিয়েছেন এই লাল মোহন। 

এই খবরটিও পড়ুন

মদন মিত্র যদিও বলছেন, তৃণমূল এখন সবাই করে। তাই বলে মহিলা কাউন্সিলরের সঙ্গে এরকম আচরণ করতে হবে? সঙ্গে তিনিও এও জানাচ্ছেন, উপর মহলে তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন। জানিয়েছেন সৌগত রায়কেও। মদন বলেন, “পুলিশ এফআইআর নিয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। আমি চাই পুলিশি তদন্ত প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসুক। আমি দলীয়ভাবেও সকলকে জানিয়েছি।” অন্যদিকে শ্রীতমা দেবী বলছেন, “এমন গালাগালি দেওয়া হয়েছে যে কান একেবারে গরম হয়ে যাবে। আমি শুধু সরকারি জমির বেদখল যাতে না হয়ে যায় তা নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম। এটা নাকি আমার অপরাধ।” যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল নেতা অমিত সাহা বলছেন, “আমি তো সামনেই ছিলাম না। ওখানে সিসি ক্যামেরা রাখা আছে। ওতেই সব দেখা যাবে। আর রাত সাড়ে দশটার সময় তো ক্লাবে মেয়েছেলেদের ঢোকার জায়গা নয়। ক্লাবে ৫ জন ছেলে বসে আছে। কে কী করছে তার দায়িত্ব তো আমি নেব না। আর পল্লী কমিটি পরিবর্তনের দায়িত্ব কাউন্সিলরের নয়।” 

Next Article