উত্তর ২৪ পরগনা: মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি চত্বরে লুকিয়ে ঢুকে পড়ায় অভিযুক্ত হাফিজুলের হাসনাবাদের বাড়িতে তল্লাশি চালাল লালবাজারের বিশেষ তদন্তকারী দল। কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে এক যুবকের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি চত্বরে প্রবেশকে ঘিরে উত্তাল গোটা রাজ্য। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত।
ইতিমধ্যে অভিযুক্ত হাফিজুলের তদন্তে সিট গঠন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। বসিরহাটের হাসনাবাদ থানার আশারিয়া নারায়ণপুর গ্রামে বছর তিরিশের হাফিজুল মোল্লা খবরের কেন্দ্রবিন্দুতে। এদিন তদন্তের স্বার্থে পুরো গোপনীয়তা বজায় রেখে লালবাজারের ১০ থেকে ১২ জনের একটি তদন্তকারী দল হাফিজুলের বাড়িতে আসে।
হাসনাবাদের বাড়িতে তাঁর স্ত্রী, বাবা, মা ও দাদা রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে প্রায় এক ঘন্টা কথা বলেন তদন্তকারীরা। তাঁদের বয়ান রেকর্ড করেন তাঁরা। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের মুখ্য সচিব থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্র সচিব-সহ রাজ্যের ডিজি পদস্থ মর্যাদার আধিকারিকরা। এই ঘটনার পিছনে আসলে কী কারণ লুকিয়ে রয়েছে? তদন্তকারীরা সেই ব্যাপারেই নিশ্চিত হতে চাইছেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কথা বলেন তদন্তকারীরা।
পরিবারের তরফে প্রথম থেকেই দাবি করা হয়েছে, হাফিজুলের মানসিক সমস্যা রয়েছে। তাঁর মানসিক স্থিতাবস্থা যাচাই করে দেখছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার পর অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। নবান্নে বিশেষ বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়েছে, এবার থেকে কংক্রিটের দেওয়ালের পাশাপাশি থাকবে অ্যালুমিনিয়াম সিট। এই সিট দেওয়ার কারণ সহজে কেউ উঠতে পারবেন না দেওয়াল বেয়ে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় দুটো ওয়াচ টাওয়ার বসানো হবে। একটি ওয়াচ টাওয়ার আলিপুর জেল সংলগ্ন, অন্য ওয়াচ টাওয়ারটি বলরাম ঘাটের দিকে বসানো হবে। এখন থেকে প্রতি শিফট এ ২০ জন করে পুলিশ কর্মী মুখ্য়মন্ত্রীর বাড়ির সামনে মোতায়েন থাকবেন। সিসিটিভিতে আরও ক্লোজ মনিটর করা হচ্ছে। এমনকি বদলি করে দেওয়া হয়েছে ডিরেক্টর সিকিউরিটি বিবেক সহায়কে। তাঁর বদলে দায়িত্বে এসেছেন পীযূষ পাণ্ডে।