বন্দিপুর: ভোট ঘোষণার পর থেকে দফায় দফায় তপ্ত হয়েছে বাংলা। মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত, একের পর এক জেলা থেকে রোজই এসেছে অশান্তির খবর। বেড়েছে হতাহতের সংখ্যা। রাজ্যজুড়ে অশান্তির খবরে সিংহভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) দিকে। প্রশ্নের মুখে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) ভূমিকা। “কেউ দুষ্টুমি করে থাকলে চড় মারবেন। যদি আমাদের কেউ আপনাদের দুঃখ দিয়ে থাকে তাহলে আমি তাঁদের হয়ে ক্ষমা চাইছি।” কয়েকদিন আগে কোচবিহারের সভা থেকে একথা বলতে শোনা গিয়েছিল খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কয়েকদিন আগে ভাঙড়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা আরবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিবুল ইসলামকেও ক্ষমা চাইতে দেখা গিয়েছে। একই কথা শোনা গিয়েছে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মুখে। ভোট প্রচারে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। এবার একই সুর বন্দিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শুকুর আলির গলায়।
এদিন ভোট প্রচারে বেরিয়েছিলেন তিনি। গিয়েছেন সিপিএম প্রার্থীর বাড়িতে। চাইলেন ভোট। একইসঙ্গে দলের কেউ কোনও ভুল করে থাকলে তাঁদের হয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। এদিকে তৃণমূল প্রার্থীকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন বাম প্রার্থীর স্বামী। তাঁর অভিযোগ, সপ্তাহ খানেক আগে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই তাঁদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। চলে ভাঙচুর। তাঁর মুখ থেকেই গোটা ঘটনার বিবরণ শোনেন শুকুর আলি।
আগামীতে আর কখনও এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না। এই আশ্বাসও দেন। যদি আর কখনও এ ঘটনা ঘটে তিনি ফের এসে ক্ষমা চেয়ে যাবেন বলেও জানান। এদিনে এই সৌজন্যমূলক সাক্ষৎ নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুকুর আলি বলেন, “আমি আজ বিরোধী দলের প্রার্থীদের বাড়ি গিয়েছিলাম। সকলকেই বলেছি সার্বিক উন্নয়নের বিষয়টি খেয়াল রাখুন। কোনও ভুল হয়ে থাকলে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।” সিপিআইএম প্রার্থী সোমা দে-এর স্বামী বিশ্বনাথ দে বলেন, “আমার বাড়িতে হামলা হয়েছিল। সেটা ওনাকে বলেছি। উনি শুনে বললেন আর কখনও এরকম ঘটনা হবে না। ক্ষমাও চাইলেন।”