বসিরহাট: এর আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সারদা দেবীর সঙ্গে তুলনা করে বিতর্ক বাড়িয়েছিলেন রোগী কল্যাণ সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা উলুবেড়িয়ার বিধায়ক নির্মল মাজি। এবার তৃণমূল সুপ্রিমোকে মা অন্নপূর্ণার (Goddess Annapurna) সঙ্গে তুলনা করলেন তৃণমূল যুব কংগ্রসের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ(Saayoni Ghosh)। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ফের শুরু হয়ে গিয়েছে জোরজার চর্চা। বুধবার বসিরহাটের হাড়োয়ায় ২১শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জীকে (Trinamool Supremo Mamata Banerjee) অন্নপূর্ণা ঠাকুরের সঙ্গে তুলনা করতে দেখা যায় সায়নীকে।
বুধবার বসিরহাট তৃণমূল সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগে হাড়োয়া সার্কাস ময়দানে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতির প্রকাশ্য জনসভায় সায়নী ঘোষ বলেন, “মা অন্নপূর্ণার মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার সন্তানদের খাদ্যের চিন্তা করেন, যেন সকলে দুধে ভাতে থাকে। বাংলার মানুষ বিপদে পড়লে মোদীজি বাঁচাতে আসেন না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসেন।” এখানেই না থেমে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে বলেন, বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করছেন, কারণ বাংলার মানুষ বিজেপিকে ভোট দেয়নি। তাই বাংলার মানুষকে জব্দ করতে ১০০ দিন ও আবাস যোজনা সহ একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে দিয়েছে মোদী সরকার।”
যদিও এদিন দলের সঙ্গে মহুয়া মিত্রের টানাপোড়েনের প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান তিনি। এদিনের মঞ্চ থেকে তিনি আরও বলেন, “কেন্দ্র সরকার রাজ্যকে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। অথচ মোদিজী ৮ হাজার কোটি টাকা দিয়ে প্লেন কিনছেন। কুড়ি হাজার কোটি টাকা দিয়ে অশোক স্তম্ভ বানাচ্ছেন।” প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে বাঁকুড়ায় প্রোগ্রেসিভ ফার্মাসিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্মেলনে নির্মল মাজি বলেন, “সারদা মা মারা যাওয়ার কিছুদিন আগে তিনি তাঁর সতীর্থ বন্ধু মহারাজদের কাছে বলেছিলেন আমি তো কালীঘাট মন্দির দিয়ে যাই। আমি ওখানেই আসব। হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটে দিদি যেখানে থাকেন সেই রাস্তা ধরে যেতেন সারদা মা। এমনকী এটাও বলেছিলেন তাঁর মৃত্যুর পরে তিনি কালীঘাটের কালীক্ষেত্রে জন্ম নেবেন। তিনি বলে আমি মানুষ হিসাবে আবার জন্ম নেব। ত্যাগের রাস্তায় জীবন কাটাব। সমাজসেবার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করব। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও জড়িয়ে যাব।” নির্মলের এ মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় হয়ে যায় রাজনৈতিক মহল। এমনকী ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় রামকৃষ্ণ মিশনকেও।