কলকাতা: মদনের গলাতে এবার কুণালের সুর। একদিন আগেই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন পঞ্চায়েত ভোটে অন্যদলের প্রার্থীরা জিতলেও শীঘ্রই তাঁদের মধ্যে ‘বাইরন সিনড্রোম’ দেখা যাবে। বাইরন বিশ্বাসের মতো অনুভূতি জাগবে। যোগ দেবেন তৃণমূলে (Trinamool Congrees)। এবার একই সুর কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan Mitra) গলায়। ‘ভুল বুঝিয়ে, ব্ল্য়াকমেল করে, গ্য়াস খাইয়ে নির্দল প্রার্থীদের দাঁড় করিয়েছিল বাম-বিজেপি। ভোটে জেতার পর ভুল বুঝতে পেরেছিল ওরা। ভুল বুঝতে পেরেই ওরা তৃণমূলে ফিরতে চাইছে। দলের নির্দেশ পেলেই ওরা তৃণমূলে ঢুকতে পারে।” ২৩,১৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী নির্দল প্রার্থীদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে এদিন এ কথা বললেন মদন।
তিন জয়ী প্রার্থীই বর্তমানে তাঁদের সঙ্গে ওঠাবসা করলেও খাতায় কলমে তৃণমূলের সদস্য হতে পারছেন। পথের কাঁটা দলের নির্দেশ। নির্দেশ এসে গেলেই সব সমস্য়ার সমাধান। এদিন মদন বলেন, “পৌরসভায় সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস বহু চেষ্টা করে তিনটে জায়গায় নির্দল প্রার্থী দিয়েছিল। ২৩, ১৫, ৬ নম্বরে তিনজন নির্দল প্রার্থী ছিলেন। যেদিন জিতেছে তার পরের দিন থেকেই ওরা আমাদের সঙ্গে মিছিল করছে। আমাদের সঙ্গে একসঙ্গে চলছে। কিন্তু, আমরা কিছুতেই তাঁদের সম্মান দিয়ে ডেকে নিতে পারছি না দলের নির্দেশ পাইনি বলে। কিন্তু, ওদের ওঠাবসা, খাওয়া-দাওয়া সবই আমাদের সঙ্গে। ওরা তো সর্বদাই বলছে আমরা তো সবাই তৃণমূল। কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি আমাদের গ্যাস খাইয়ে, নোংরামি করে দাঁড় করিয়েছিল। এখন তো আমরা দেখছি তৃণমূল ছাড়া কাজ করার কোনও জায়গা নেই।”
প্রসঙ্গত গতকাল কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, “তৃণমূল সব জায়গাতেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। ফলে দু-চারজন অন্য প্রতীকে জেতেন তাঁরা তো এটা অনুভব করবেন। বাইরনের অনুভূতি তো সংক্রমিত হবে। আর মানুষই কেন অন্য চিহ্নে ভোট দেবে? তৃণমূলে দিলে সরাসরি তৃণমূল জিতবে। অন্য চিহ্নে দিলে ভোটের পরে জয়ীরা তৃণমূলে আসবে।” কুণালের সঙ্গে একমত মদনও। স্পষ্টই বলছেন, “কুণালের কথার সঙ্গে আমি একমত। বাইরনের রসায়ন শুধু সংক্রমিত হবে তাই নয়, বহুদিন ধরেই তা সংক্রমিত হয়ে আছে। কিন্তু, আমাদের পার্টির নির্দেশ পাচ্ছি না বলে প্যান্ডোরা বক্সটা খোলা যাচ্ছে না। যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একবার বলে দেন ওদের নিয়ে নাও তাহলে ওরাও খুশি হবে আর আমরাও বেঁচে যাই।”