উত্তর ২৪ পরগনা: নিছক সন্দেহে এ কেমন শাস্তি! লোহার রড চুরির সন্দেহে দুই কিশোরের উপরের অত্যাচার। দুই কিশোরকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার অভিযোগ মহিলার বিরুদ্ধে। পরে দুই কিশোরকে উদ্ধার করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ।
উত্তর ২৪ পরগনার চাঁদপাড়া ঢাকুরিয়া এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার লোহার রড চোর সন্দেহে দু’টি নাবালককে বাড়ির গ্রিলের সঙ্গে রোদের মধ্যে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন মৌসুমী দাস নামে এক মহিলা। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকায় পৌঁছায়। তাঁরা গিয়ে নাবালকদের উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ওই মহিলাকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। বাচ্চা দুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এক এলাকাবাসী বলেন, ‘এখানে ওই বাচ্চা ছেলে দুটিকে বেঁধে রাখা হয় লোহার শিকল দিয়ে। এরপর ক্লাবের সদস্যরা বাকিদের জানায়। তখন অনেকে মিলে বাচ্চা দুটিকে ছাড়ানোর জন্য যায়। তবে ওই মহিলা ওদের ছাড়তে অস্বীকার করেন। আমরা বললাম যে যদি কিছু ঘটেই থাকে আইনের দ্বারস্থ হন। সেখানে তাঁদেরকে বলুন। কিন্তু কথাই শুনছিল না। তারপর বাধ্য হয়ে আমরা পুলিশকে বলি।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুনছিলাম চুরির অপরাধ। এবার আদৌ চুরি করেছে কি না। করলেও কী চুরি করেছে তা জানি না। ওই বাড়ির মালিক দীপু দাস। আমরা এসে দেখি ওনার স্ত্রী ও ছেলে রয়েছে। এরপর পুলিশ আর স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে ওদের উদ্ধার করি। একাধিকবার অনুনয়-বিনয় করেছি। তারপরও কোনও কথা শোনেনি।’ অভিযুক্ত মহিলা বলেন, ‘ওরা লিফটের লোহার রড ভেঙে নিয়ে চলে গিয়েছে। রোজ একই একই ঘটনা ঘটে। আমরা জানি ওরাই এই কাজ করেছে। প্রশাসনকে জানাইনি কিছু। ওদের ভালভাবে বোঝাই।