Bhatpara: ‘টেন্ডারের তালিকা তো আমার হাতেও এসেছে, কে কত টাকা পেয়েছে…’, তৃণমূলের পুরসভা নিয়ে বোমা ফাটালেন অর্জুন সিং

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jul 03, 2022 | 10:03 PM

Bhatpara: উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানকার বাকড় মহল্লায় থাকতেন মুকুল ভাই।

Bhatpara: টেন্ডারের তালিকা তো আমার হাতেও এসেছে, কে কত টাকা পেয়েছে..., তৃণমূলের পুরসভা নিয়ে বোমা ফাটালেন অর্জুন সিং
ভাটপাড়া গুলিকাণ্ডে বিস্ফোরক অর্জুন সিং। (বাঁদিকে) নিহত মহম্মদ সালামুদ্দিন।

Follow Us

উত্তর ২৪ পরগনা: ভাটপাড়ায় যুবক খুনের পর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। এরইমধ্যে এই ঘটনায় বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন এলাকার সাংসদ অর্জুন সিং। কীভাবে টেন্ডার ফাঁস হল, কীভাবেই বা সেই তালিকা বাইরে চলে এল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। একইসঙ্গে অর্জুনের অনুমান, এই টেন্ডার ফাঁস নিয়েও ঝামেলার বলি হতে পারেন মহম্মদ সালামুদ্দিন ওরফে মুকুল ভাই নামে ওই যুবক। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। তাঁর পাল্টা দাবি, এই টেন্ডার মূলত ই-টেন্ডার। এখনও তা ‘ওপেন’ করাই হয়নি। তাই এ নিয়ে জানাজানির কোনও প্রশ্নই নেই।

উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানকার বাকড় মহল্লায় থাকতেন মুকুল ভাই। শনিবার আড্ডার আসরে তাঁকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ ওঠে। তাঁকে পরপর ৬টি গুলি করা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। পুরসভার টেন্ডার নিয়ে ঝামেলার কারণে এই গুলি কি না তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পুরসভা থেকে ফাঁস হয়ে যাওয়া টেন্ডারই এই ঘটনার নেপথ্যে থাকতে পারে বলেও বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। কী করে অনলাইন টেন্ডার আগেভাগে ফাঁস হয়ে গেল, তার তদন্তের দাবি করেন সাংসদ অর্জুন সিং। এর সঙ্গে পুরসভার কোনও আধিকারিক যুক্ত থাকতে পারেন বলেও দাবি করেন সাংসদ।

এ প্রসঙ্গে অর্জুন সিং বলেন, “আমি জানি না কীভাবে টেন্ডার প্রকাশ্যে এসে গেল। টেন্ডার এখনও ওপেন হয়নি। আমার কাছেও একটা তালিকা এসেছে। কে কত টাকা পেয়েছে। এটা কীভাবে ফাঁস হল সেটা কিন্তু ভাববার। জঘন্য ঘটনা এটা একটা। প্রশাসনিকভাবে দেখা হচ্ছে। কীভাবে এটা বাইরে এল, কীভাবে এই ঘটনা ঘিরে অতবড় একটা ঘটনা ঘটে গেল। তবে এলাকার লোকজন যা বলছেন, তাতে দুই বন্ধুর মধ্যে কিছু হয়েছিল। সেটাও কারণ হতে পারে। আবার টেন্ডার ফাঁসও কারণ হতে পারে।”

যদিও এ প্রসঙ্গে জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, “দেখুন ই-টেন্ডারের তো ভাগাভাগি হয় না। কে কাজ পেয়েছিল তা তো কেউ জানেই না। টেন্ডার তো এখনও ওপেন হয়নি। প্রসেসিং চলছে। শেষ তারিখও এখনও আসেনি। সাংসদ প্রশ্ন তুললেই তো হবে না। সাংসদ বলতেই পারেন। সাংসদের মনে হল, উনি বললেন। কিন্তু ই-টেন্ডারে যা পদ্ধতি ভারতবর্ষের যে কোনও কোণা থেকে যাঁর ক্রেডেনশিয়াল আছে তিনিই একমাত্র টেন্ডারে অংশ নিতে পারেন। সেখানে কাউকে টেন্ডার দিয়ে দেওয়া হয়েছে, এ কথা ওঠার কোনও জায়গাই নেই।” অন্যদিকে ভাটপাড়া পুরসভার উপপুরপ্রধান দেবজ্যোতি ঘোষ জানান, যদি টেন্ডার ফাঁস হয়ে থাকে, তাহলে পুরপ্রধানকে বলব তদন্ত করতে। এটা যদি ফাঁস হয়ে থাকে, তবে কী করে তা হল সেটাই তো স্পষ্ট না।

Next Article