কামারহাটি: শনিবার ভোটের দিন দুপুর পর্যন্তও ‘মদনসুলভ’ হয়েই ছিলেন তৃণমূলের ‘লাভলি বয়’। সকাল সকাল দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিয়েছেন। চাপ কমাতে গঙ্গা পাড়ে দুপুরের বসে গান গেয়েছেন। তার পর প্রায় সারাদিন বুথে বুথে লাল জিপ নিজে চালিয়ে ঘুরেছেন কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র (Madan Mitra)। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান পকেটে কী আছে জানতে চাইলে মদনের সটান জবাব ‘অ্যাটম বোমা’। তার জন্য একপ্রস্থ ঝামেলা। এভাবেই চলছিল। কিন্তু বিকেলে আচমকা ছন্দপতন।
বেলঘরিয়া থেকে তখন তাঁর গাড়ির উপর হামলা চালানোর অভিযোগে প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী। এদিকে সেই সময়ই রথতলার তৃণমূল পার্টি অফিসে মদন মিত্র তখন বসে অক্সিজেন মুখে! কার্যত কাহিল অবস্থা। মুহূর্তের মধ্যে উদ্বেগ ছড়াল কর্মীদের মধ্যে। দৌড়ঝাঁপ করে আনা হল বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক গৌতম বলকে। তার পর দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর চিকিৎসা হল। তখন ভোট গ্রহণও শেষ। এবার কিছুটা সুস্থ মনে হল মদনকে। পার্টি অফিস থেকে এবার বেরতে চাইলেন। জানা গেল, কয়েকদিন খাওয়া দাওয়া হয়নি ঠিক মতো। ঘনঘন চা-কফি খাওয়া হয়েছে। সঙ্গে মানসিক টেনশন। চড়া রোদে ঘুরতে ঘুরতে ওই সানস্ট্রোক মতো।
জেনিথ হাসপাতালে চিকিৎসক গৌতম বল জানান, সারাদিনের স্ট্রেস থেকে সমস্যা হয়েছিল মদনবাবুর। প্রেসার, সুগার ঠিকই আছে। তবে এখন বিশ্রাম দরকার। সমস্যা গুরুতর নয়। তবে পরে ইসিজি করতে হবে।
এদিন যতবারই মদনবাবুকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে, ভোটের ফলের ব্যাপারে কী মনে হচ্ছে? জবাব এসেছে, ‘দেখা যাক মায়ের ইচ্ছে।’ কোথাও যেন আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি মনে হল। আর পার্টি অফিস থেকে যখন বেরচ্ছেন, একবার রাজু ব্যানার্জির অভিযোগ শোনান হল। না, কোনও উত্তর দিতে চাইলেন না। ভোটের প্রচারে ‘খেলা হবে’, ‘খেলা হবে’ হুঙ্কার দেওয়া মদন ভোট শেষে শুধু বলে গেলেন, ‘গেম ওভার।’