উত্তর ২৪ পরগনা: ফের রাজ্যে ডেঙ্গির (Dengue) বলি। উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় ডেঙ্গিতে মৃত্যু হল এক যুবকের। ভাটপাড়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন আবির সাহা (১৯)। জ্বর নিয়ে দু’দিন আগেই নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (NRS) ভর্তি করানো হয় তাঁকে। সেখানেই শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় তাঁর মৃত্যু হয়। উত্তর ২৪ পরগনায় ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ প্রথম থেকেই। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে যে তথ্য মিলেছে, তাতে ২০২২ সালের নভেম্বরে ডেঙ্গির দাপট সবথেকে বেশি দেখা গিয়েছে এ রাজ্যে। ২০১৭ সাল থেকে এ বছরই প্রথম ৪৪ তম সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার পার করে। ৮ নভেম্বর পর্যন্ত এ বছর ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ছিল ৫১ হাজার ৬৬৭। সে সংখ্যাটা নভেম্বরের শেষবেলায় এসে যে বেড়েছে তা বলাই বাহুল্য। ৪৪ তম সপ্তাহের রিপোর্ট বলছে, শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, মুর্শিদাবাদ।
ভাটপাড়ার যুবকের মৃত্যুর পর প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিহত আবির সাহার পরিবারের অভিযোগ, ১০ নম্বর ওয়ার্ড সব সময় অপরিষ্কার থাকে। কারও অসুস্থতার খবর পেলে তখনই শুধুমাত্র ব্লিচিং পাউডার কিংবা মশা মারার তেল ছড়ানো হয়। এমনও অভিযোগ, পুরসভার কোনও উদ্যোগই নেই। ভাটপাড়ায় শুধুমাত্র ১০ নম্বর ওয়ার্ডেই ১০ জনের বেশি ডেঙ্গি আক্রান্ত বলে অভিযোগ এলাকার লোকজনের।
জানা গিয়েছে, ১৯ তারিখ জ্বর নিয়ে আবিরকে ভর্তি করা হয় ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখান থেকেই তাঁকে এনআরএসে স্থানান্তরিত করা হলে শনিবার সেখানে মারা যান। আবিরের মা বলেন, “আমার অত বড় জলজ্যান্ত ছেলেটা হেঁটে হাসপাতালে গেল। আর ফিরে আসল না। আর আমাকে কেউ মা বলে ডাকবে না। সারা জীবন শুধু কাঁদতে রেখে গেল। আমার ও ছাড়া আর কেউ নেই ও জানে।”
ভাটপাড়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যেন রায় বলেন, “এরকম ঘটনা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমার ভাইয়ের ছেলের বন্ধু ও। ওর বাড়িতেও গিয়েছিলাম। আমরা পুরসভার তরফে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ব্লিচিং পাউডার দিচ্ছি, স্প্রে করা হচ্ছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হচ্ছে এলাকা।”