BSF: দেখেই সন্দেহ হয় বিএসএফের, বাইকের ব্যাটারি খুলতেই চোখ ধাঁধানো চকচকানি…

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jul 09, 2022 | 10:48 AM

Border: যুবককে বিএসএফ আটক করে স্বরূপনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। অন্যদিকে উদ্ধার হওয়া রুপোর গয়নাগুলি তেঁতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

BSF: দেখেই সন্দেহ হয় বিএসএফের, বাইকের ব্যাটারি খুলতেই চোখ ধাঁধানো চকচকানি...
রুপো উদ্ধার বাইকের ব্যাটারি থেকে।

Follow Us

উত্তর ২৪ পরগনা: এক যুবক বাইকে চেপে সীমান্তের দিকে যাচ্ছিলেন। দেখে সন্দেহ হয় বিএসএফের। তাঁকে দাঁড় করিয়ে নানা প্রশ্নও করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এরপরই তাঁর বাইকের তল্লাশি নিতে চায় তারা। ব্যাটারির অংশ খুলতেই চোখ কপালে ওঠে। দেখা যায় ওই ব্যাটারির খোপের ভিতর লোকানো মুঠো মুঠো রুপো। রয়েছে রুপোর গয়নাও। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে বিএসএফ। উদ্ধার হয়েছে রূপোর গয়না। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার ভারত-বাংলাদেশ তারালি সীমান্তের ঘটনা। পাশাপাশি হাকিমপুর সীমান্ত থেকে দুই দালাল-সহ ১০ জন বাংলাদেশের বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম রাহান বিশ্বাস। বাড়ি স্বরূপনগর থানার নিত্যানন্দকাটি গ্রামে। ওই যুবক এদিন মোটরবাইক নিয়ে তারালি সীমান্তের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের সন্দেহ হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এরপরই মোটরবাইকের তল্লাশি শুরু করে তারা। তাতে দেখা যায়, বাইকের ভিতর যে ব্যাটারি তার মধ্যে ২ কেজি ৬৫০ গ্রাম রুপো ও রুপোর গয়না। আপাতত সেগুলিকে উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য লক্ষাধিক টাকা বলে মনে করছে তদন্তকারীরা।

ওই যুবককে বিএসএফ আটক করে স্বরূপনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। অন্যদিকে উদ্ধার হওয়া রুপোর গয়নাগুলি তেঁতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ধৃতকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হচ্ছে। পাশাপাশি হাকিমপুর সীমান্ত থেকে দুই দালাল-সহ মোট ১০ জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে ১১২ নম্বর নম্বর ব্যাটেলিয়নের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। ধৃতদের বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায়। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতে অবৈধভাবে ঢুকে পড়ার অভিযোগ রয়েছে। বিএসএফ জিজ্ঞাসাবাদ করায় তাঁরা কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ধৃতদের বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। এর আগেও সীমান্তে রুপোর গয়না থেকে রুপোর বল উদ্ধার করেছে বিএসএফ। পাচারের উদ্দেশে সেগুলি সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সীমান্তবাহিনীর কড়া নজরদারিতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধরা পড়ে পাচারকারীরা।

Next Article