উত্তর ২৪ পরগনা: পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, “বাংলার অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হয়ে যাবে। মানুষ তাড়া করে করে মারবে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের।” একইসঙ্গে শনিবার বিজেপির পার্টি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি ছিল তৃণমূল সমর্থিত সোশ্যাল মিডিয়া ওয়ার্কারদের। এ প্রসঙ্গে ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ওইটুকুই করতে পারবে।সুদীপদাকে নিয়ে গেছিল, সেই সময় পরেশ পাল আমাদের বাড়িতে ঢিল মেরেছিল। ওদের দৌড় ওই অবধিই। এর বেশি কিছু করতে পারবে না।” এরই পাল্টা শনিবার এক হাত নেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর হুঁশিয়ারি, দিলীপ ঘোষকে কোমরে বেল্ট ও গলায় বকলেস পরিয়ে ঘোরানো হবে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শনিবার দুপুরে ডানলপ আনমোল মোড় থেকে কামারহাটি মোড় পর্যন্ত এক প্রতিবাদ মিছিল করেন বিধায়ক মদন মিত্র। কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থককে নিয়ে এই মিছিলে নামেন মদন। সেখানেই মদন মিত্র বলেন, “দিলীপ ঘোষকে বলি বেশি ইট পাটকেল বলবেন না, এরপর পরিস্থিতি এমন আসবে, আপনাকে কিন্তু কোমরে বেল্ট পরিয়ে ঘোরাতে হবে। কলকাতা শহর, বাংলায় এখানে যদি তৃণমূল কর্মীদের উপর হাত পড়ে তা হলে…। কার গলায় বকলেস পরায় জানেন তো। তৈরি থাকুন।”
শুধু তাই নয়, এর আগে অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁদের জুতো দেখিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। পার্থকে লক্ষ্য করে জোকা ইএসআই হাসপাতালে জুতো ছুড়ে মেরেছিলেন এক মহিলা। অন্যদিকে আসানসোল আদালতে অনুব্রত মণ্ডলকে তোলা হলে বিক্ষোভকারীরা কালো জুতো তুলে দেখান। সেই প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, “এই সমস্ত দুর্নীতিগ্রস্তদের যেখানেই দেখবে মানুষ, ইট পাটকেল ছুড়ে মারবে।” এদিন মদন মিত্র বলেন, এই ধরনের মন্তব্য উস্কানিমূলক ছাড়া আর কিছুই না। এগুলো করে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তাতাতে চাইছে বিজেপি। পায়ের নীচে জমি না থাকলে এইভাবেই প্রচারে থাকতে হয় বলেও দাবি করেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক।