Baranagar: ‘আমি পারলাম না, আমায় মাফ কোরো’, ডাক্তারি পড়ুয়ার ঘর থেকে উদ্ধার সুইসাইড নোট

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Nov 29, 2022 | 1:52 PM

North 24 Parganas: এদিন ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার প্রিয়ব্রত বক্সী।

Baranagar: আমি পারলাম না, আমায় মাফ কোরো, ডাক্তারি পড়ুয়ার ঘর থেকে উদ্ধার সুইসাইড নোট
বরানগরে ছাত্রের রহস্যমৃত্যু

Follow Us

উত্তর ২৪ পরগনা: বরানগর (Baranagar) প্রতিবন্ধী হাসপাতালের হস্টেল থেকে ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তেজনা। হাসপাতালে চিকিৎসার ন্যূনতম পরিষেবা না থাকার কারণেই ওই ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যু বলে যখন অভিযোগ ঘিরে সরগরম হাসপাতাল চত্বর, সেই সময় পুলিশের হাতে এল ওই ছাত্রের সুইসাইড নোট। হস্টেলের যে ঘরে প্রিয়রঞ্জন সিং নামে ওই ছাত্র থাকতেন, সেই ঘর থেকেই নোটটি পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। সূত্রের দাবি, সেই নোটে লেখা রয়েছে, ‘আমি পারলাম না। আমায় মাফ কোরো।’ পুলিশ সূত্রে খবর, পারিবারিক কোনও সমস্যায় ছিলেন প্রিয়রঞ্জন, তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে ওই সুইসাইড নোটে। কলেজের বেশ কয়েকজন সিনিয়র তাঁকে আগলে রাখতেন বলেও চিঠিতে তার উল্লেখ করে ওই ছাত্র কৃতজ্ঞতা জানান বলে সূত্রের দাবি। ওই ‘দাদা’দের কাছে প্রিয়রঞ্জন সারা জীবনের জন্য ঋণী বলেও ওই নোটে উল্লেখ করেন। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছে, কোনও ব্যক্তিগত সমস্যার কারণেই আত্মহত্যা বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার প্রিয়ব্রত বক্সী। তিনি বলেন, “অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে এসেছি আমরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যে ঘরে ওই ছাত্রকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে, তদন্তের ব্যাপারে সেখান থেকে যা যা পেয়েছি বাজেয়াপ্ত করেছি। তদন্তের স্বার্থে এখনই এর বেশি কিছু বলা যাবে না।” যে ঘরের ভিতরে প্রিয়রঞ্জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেখান থেকে পুলিশ বেশ কিছু নমুনা, ওই ছাত্রের বইপত্র সংগ্রহ করেছে।

এদিকে এই ছাত্র মৃত্যু ঘিরে এদিন সকাল থেকেই  বরানগর প্রতিবন্ধী হাসপাতাল চত্বরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। এই হাসপাতাল বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য হাসপাতাল। অথচ এখানে ন্যূনতম এমার্জেন্সি পরিষেবা নেই বলে অভিযোগ তোলেন পড়ুয়ারা। এক ছাত্রের কথায়, সোমবার রাত ১১টা ৪০ নাগাদ প্রিয়রঞ্জনকে ওর এক রুমমেট ফোন করেন। ফোনে না পেয়ে ঘরে এসে দেখেন তাঁর ঝুলন্ত দেহ। তবে দেহে প্রাণ ছিল তখনও। কিন্তু এই হাসপাতালে অক্সিজেন পর্যন্ত ছিল না বলে অভিযোগ। ছিল না অ্য়াম্বুল্যান্স। ওই ছাত্রকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বাইকে করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বন্ধুরা। যদিও মাঝ পথেই মারা যান প্রিয়রঞ্জন।

যদিও হাসপাতালে ডিরেক্টর পিপি মোহান্তি বলেন, “ঘটনার তদন্ত হবে। এটা সত্যি আমাদের হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স নেই, কিন্তু যথাযথ পরিষেবা রয়েছে। আমি স্বীকার করছি এটা বড় ঘটনা, তবে আমি চাই হাসপাতালের এই ডাক্তারি পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে। সমাধান আমি বের করব।”

Next Article