উত্তর ২৪ পরগনা: পানিহাটির দই চিঁড়ে মেলায় চরম বিশৃঙ্খলা। মেলার ভিড় কাড়ল প্রাণ। গরমে হাসফাঁস, সঙ্গে ভিড়। তার উপর চরম অব্যবস্থা। এই ত্রিফলা চাপেই তিন তিনজনের প্রাণ গেল বলে অভিযোগ উঠছে। পানিহাটির দণ্ড মহোৎসব ৫০০ বছরের বেশি পুরনো। প্রতি বছরই উপচে পড়ে মানুষের ভিড়। কিন্তু এমন অভিজ্ঞতা কখনওই হয়নি, বলছেন ভক্তরাই। কিন্তু কীভাবে ঘটল এই বিপদ। এতগুলো মানুষ এক জায়গায়, ভিড়ে ঠেলাঠেলি, বিচ্ছিরি গরম, সব অভিযোগই যথাযথ। কিন্তু এরপরও প্রশ্ন থেকেই যায়। বাপ্পা রায় নামে এক ভক্ত ছিলেন সকাল থেকেই এই মহোৎসবে। সেই ভয়ঙ্কর মুহূর্তের কথা বলতে গিয়ে তাঁর চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ।
বাপ্পা রায় বলেন, “মন্দিরের সামনে কোনও ভক্তের দল বোধহয় বাঁশে বেঁধে কাপড় এনেছিলেন। সেটাই মাটিতে পড়ে যায়। এরপরই আসল বিপত্তি শুরু হয়। এত মানুষ। কেউ তো মাটিতে দেখতে পাচ্ছেন না। শুধু থিক থিক করছে মাথা। একের পর এক মাটিতে পড়তে থাকেন। পিছন থেকে তো সমানে আসছে। দু’দিক থেকে ভিড় ঠেলে আসছেন মানুষ। বয়স্ক মানুষ থেকে শুরু করে অল্প বয়সী ছেলে, সকলেই হুড়মুড়িয়ে পড়ে যাচ্ছেন। ভয়ঙ্কর সেই সময়টা।” বাপ্পা জানান, ১০টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। তিনি কয়েকজনকে টেনে সাইডও করে দেন। কিন্তু বাঁশটা কোনওভাবেই সরানো যায়নি। বাপ্পা রায়ের কথায়, “এত ভিড়, লোক নেই মানুষকে টেনে তোলার। এরইমধ্যে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে লোক এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।”
অতিমারির কারণে দু’বছর মেলা, জনসমাগম হয়নি। এবার তাই দু’কূল ছাপিয়ে ভক্তের ঢল। ভিড়ের চাপে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয় চৈতন্য মহাপ্রভুর মন্দির প্রাঙ্গণে। মন্দিরের সামনে কাঠের দরজা, খুলে আসে তা থেকে ছিটকিনি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, প্রশাসন যেখানে সাগর মেলায় লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় সামলাতে পারছে, সেখানে পানিহাটিতে কেন এমন ছবি দেখা গেল? এ প্রসঙ্গে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার মনোজ ভর্মা বলেন, “আয়োজনের রিভিউ করেছি আমরা। আমরা কিছু কিছু বিষয় নোটও করেছি।”
উত্তর ২৪ পরগনা: পানিহাটির দই চিঁড়ে মেলায় চরম বিশৃঙ্খলা। মেলার ভিড় কাড়ল প্রাণ। গরমে হাসফাঁস, সঙ্গে ভিড়। তার উপর চরম অব্যবস্থা। এই ত্রিফলা চাপেই তিন তিনজনের প্রাণ গেল বলে অভিযোগ উঠছে। পানিহাটির দণ্ড মহোৎসব ৫০০ বছরের বেশি পুরনো। প্রতি বছরই উপচে পড়ে মানুষের ভিড়। কিন্তু এমন অভিজ্ঞতা কখনওই হয়নি, বলছেন ভক্তরাই। কিন্তু কীভাবে ঘটল এই বিপদ। এতগুলো মানুষ এক জায়গায়, ভিড়ে ঠেলাঠেলি, বিচ্ছিরি গরম, সব অভিযোগই যথাযথ। কিন্তু এরপরও প্রশ্ন থেকেই যায়। বাপ্পা রায় নামে এক ভক্ত ছিলেন সকাল থেকেই এই মহোৎসবে। সেই ভয়ঙ্কর মুহূর্তের কথা বলতে গিয়ে তাঁর চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ।
বাপ্পা রায় বলেন, “মন্দিরের সামনে কোনও ভক্তের দল বোধহয় বাঁশে বেঁধে কাপড় এনেছিলেন। সেটাই মাটিতে পড়ে যায়। এরপরই আসল বিপত্তি শুরু হয়। এত মানুষ। কেউ তো মাটিতে দেখতে পাচ্ছেন না। শুধু থিক থিক করছে মাথা। একের পর এক মাটিতে পড়তে থাকেন। পিছন থেকে তো সমানে আসছে। দু’দিক থেকে ভিড় ঠেলে আসছেন মানুষ। বয়স্ক মানুষ থেকে শুরু করে অল্প বয়সী ছেলে, সকলেই হুড়মুড়িয়ে পড়ে যাচ্ছেন। ভয়ঙ্কর সেই সময়টা।” বাপ্পা জানান, ১০টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। তিনি কয়েকজনকে টেনে সাইডও করে দেন। কিন্তু বাঁশটা কোনওভাবেই সরানো যায়নি। বাপ্পা রায়ের কথায়, “এত ভিড়, লোক নেই মানুষকে টেনে তোলার। এরইমধ্যে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে লোক এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।”
অতিমারির কারণে দু’বছর মেলা, জনসমাগম হয়নি। এবার তাই দু’কূল ছাপিয়ে ভক্তের ঢল। ভিড়ের চাপে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয় চৈতন্য মহাপ্রভুর মন্দির প্রাঙ্গণে। মন্দিরের সামনে কাঠের দরজা, খুলে আসে তা থেকে ছিটকিনি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, প্রশাসন যেখানে সাগর মেলায় লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় সামলাতে পারছে, সেখানে পানিহাটিতে কেন এমন ছবি দেখা গেল? এ প্রসঙ্গে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার মনোজ ভর্মা বলেন, “আয়োজনের রিভিউ করেছি আমরা। আমরা কিছু কিছু বিষয় নোটও করেছি।”