উত্তর ২৪ পরগনা: বছরখানেক আগে বিয়ে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত ঝামেলা হত স্বামীর। বরের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বাপের বাড়ির পাড়ায় চলে যান ওই তরুণী। অভিযোগ, সোমবার সকালে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে চড়াও হন জামাই। সে সময় রান্না করছিলেন ওই তরুণী। অভিযোগ, সেখানে তুমুল বাকবিতণ্ডা শুরু হয় দু’জনের। এরপরই পকেট থেকে ছুরি বের করে স্ত্রীকে কোপাতে শুরু করে বলে অভিযোগ। খড়দহের এই ঘটনায় পূজা রাজবংশী নামে তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত হিমাদ্রি শিকদার পলাতক।
রহড়া থানা এলাকার ঠাকুর কলোনির হিমাদ্রি শিকদারের সঙ্গে বছরখানেক আগে বিয়ে হয় সুভাষপল্লির পূজার। অভিযোগ, স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা হওয়ায় সুভাষপল্লিতে আলাদা ঘর ভাড়া নেন পূজা। সেখানেই থাকেন তিনি। অভিযোগ, সেখানেও প্রায়শই চড়াও হন হিমাদ্রি। সোমবারও একই ঘটনা ঘটে। কথায় কথায় স্ত্রীর উপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে চড়াও হন হিমাদ্রি। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে গা ঢাকা দেন ওই যুবক।
আক্রান্ত পূজা রাজবংশী বলেন, “হঠাৎই আজ আমাকে এসে উল্টোপাল্টা কথা বলছে। বলছে, আমি নাকি ওর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছি। এরপরই ঝামেলা শুরু করে। আমি বাধ্য হয়ে ওর দাদাকে ফোন করি। বলি, বাড়িতে চড়াও হয়ে এসব বলছে। উনি কথার গুরুত্বই দিলেন না। এত অসভ্যতামো করছিল, চিৎকার করছিল, আমি বাধ্য হয়ে স্বামীকে ঘর থেকে বের করে দিতে যাই। তখন দেখি পকেট থেকে ছুরি বের করছে। আমি তখনও বুঝিনি, ও আমার সঙ্গে এরকম করবে। তারপর কোপাতে শুরু করল। আমি চিৎকার করেছি কেউ শোনেনি, কেউ আসেনি। রক্তে ভেসে যাচ্ছিলাম আমি।” হাসপাতালের বেডে শুয়ে ওই তরুণী বলেন, “আমি জানি আমি আর বাঁচব না। পেটে, বুকে মেরেছে।”
পূজাকে প্রথমে খড়দহ বলরাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পরিস্থিতি ঘোরাল হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় আরজি কর হাসপাতালে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রহড়া থানার পুলিশ। সুভাষপল্লিতেই থাকেন সুনীল দাস। তিনি বলেন, “পূজা বাড়িতে একাই ছিল। দীর্ঘদিন ধরে স্বামী স্ত্রীর ঝামেলা। পূজা বাড়িতেই থাকে। এদিন পিছন দিয়ে বাড়িতে ঢোকে হিমাদ্রি, তর্কাতর্কি শুরু হয়। এরপরই ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়।”