পানিহাটি: তাঁদের মেয়ের ধর্ষণ-খুনে দোষীসাব্যস্তর আমৃত্যু কারাদণ্ড হয়েছে। শিয়ালদহ আদালতের সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে গিয়েছে রাজ্য ও সিবিআই। দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির সাজার আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু, কলকাতা হাইকোর্টে তিলোত্তমার বাবা-মা জানিয়েছেন, আপাতত সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি সাজা চান না তাঁরা। কিন্তু, কেন? সেই কারণ খোলসা করলেন তিলোত্তমার বাবা।
সোমবার হাইকোর্টে তাঁদের বক্তব্যের পর শাসকদল তৃণমূলের নেতারা আক্রমণ শুরু করেছেন তিলোত্তমার বাবা-মাকে। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, রাজনীতি করছেন তিলোত্তমার বাবা-মা। খোঁচা দিয়েছেন কুণালও। কিন্তু, কেন তাঁরা আপাতত সঞ্জয়ের ফাঁসি চাইছেন না, সেকথা জানিয়ে তিলোত্তমার বাবা বলেন, “তদন্তের সাক্ষ্য একটা মানিকই রয়েছে। ওটাকে আমরা হারাতে চাই না। ওটা আমরা চাইছি পকেটে রাখতে।” তিনি স্পষ্ট করে দিলেন, তাঁর মেয়ের নৃশংস পরিণতির পিছনে আরও যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের সামনে আনার জন্য এখন তাঁদের কাছে সঞ্জয় রায়-ই একমাত্র ‘মানিক’।
গত বছরের ৯ অগস্ট তিলোত্তমার ধর্ষণ-খুনের পর থেকে তাঁর পরিবার দাবি করে আসছে, এই ঘটনা একার পক্ষে সম্ভব নয়। এর পিছনে আরও অনেকে রয়েছেন। তাই, সিবিআই শুধু সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা। শিয়ালদহ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যের তড়িঘড়ি হাইকোর্টে যাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিলোত্তমার বাবা।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণের জবাব দিতে গিয়ে তিলোত্তমার বাবা বলেন, “উনি দাদার মতো। উনি কেন বিরোধিতা করছেন? আমাদের গাইড করুন। আমাদের সঠিক রাস্তা দেখান। আমি ওঁদেরও মুখপাত্র হতে পারি। তবে আমাকে ভয় দেখানোর প্রয়োজন নেই। আমাকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমি ভয় পাব না।”