উত্তর ২৪ পরগনা: একটা ফোন আর তাতেই আঁতকে উঠেছিলেন গোটা পরিবার। পরে এল মর্মান্তিক খবর। পরিবার জানতে পারল তাদের মেয়েটি আর নেই। আর গোটা ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির দিকেই অভিযোগ তুলেছেন গোটা পরিবার।
উত্ত ২৪ পরগনার অশোক নগর থানার রাজিব পুর পঞ্চায়েতের রাংড়িগ্রাম। সেখানেই বছর তিনেক আগে আমডাঙা থানার বোদাই গ্রামের কাকলি কাইপুত্রর সঙ্গে বিয়ে হয় সিদাম কাহারের। দম্পতির মাস ছয়েক এক সন্তানও রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, কাকলি বাপের বাড়ি এলেই অশান্তি করত জামাই। যখনই তাঁদের মেয়ে বাপের বাড়ি আসতেন তখনই এমন ঘটনা ঘটত। পরিবার সূত্রে খবর, গত সপ্তাহেও কাকলি আমডাঙায় বাপের বাড়িতে যান। এরপর রবিবার ফোন করে ঝামেলা শুরু করে মহিলার স্বামী। লাগাতার সেই অশান্তির কারণে রবিবার বিকালে কাকলির মা টুম্পা কাইপুত্র জামাইয়ের বাড়িতে কাকলিকে দিয়ে আসে।
পরিবারের অভিযোগ, বাড়ির ফেরার পর এদিন রাতেই কাকলিকে মারধর শুরু করে স্বামী সিদাম কাহার ও তার বাবা-মা। তখনই মারধর করে বিষ খাইয়ে দেয় তাকে। এমনটাই অভিযোগ তোলেন মৃতের পরিবারের লোকেরা।
এদিকে, সোমবার টেলিফোনে সিদাম জানায় কাকলি অসুস্থ। তাঁকে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কাকলির পরিবারের লোকজন বারাসত হাসপাতালে গিয়ে দেখেন মেয়ে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ডাক্তাররা জানায় কাকলির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার অশোক নগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃত কাকুলির মা টুম্পা কাইপুত্র। ঘটনার তদন্তে অশোকনগর থানার পুলিশ।
পরিবারের এক আত্মীয় বলেন, ‘ওর বাবাকে ফোন করে। হোয়াটস অ্যাপে কল করেছিল। তারপর জামাই ফোন করে। জানায় আমাদের মেয়ে অসুস্থ। বাপের বাড়ি এলেই ওরা মেয়েটির উপর অত্যাচার করত। একাধিকবার মারধরও করেছে। ওরাই মেরে ফেলেছে আমাদের মেয়েকে। বিষ খাইয়ে খুন করেছে জামাই ও তার পরিবারের লোকজন।’