দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা জিইয়ে রাখলেন প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর (Mamatabala Thakur)। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, শান্তনু ঠাকুর তৃণমূলে এলে তাঁরা একসঙ্গে লড়বেন।
সোমবার মমতাবালা ঠাকুর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তখন বলেন, “পারিবারিক সমস্যা থাকতেই পারে। মতের মিল নাও হতে পারে। কে থাকবে কে থাকবে না সেই সিদ্ধান্ত দল নেবে। যতদিন সম্মান পাচ্ছি ততদিন দলেই থাকব।” মতুয়া মহাসঙ্ঘের স্বার্থে শান্তনু ঠাকুরের পাশে থেকে লড়তেও যে তাঁর সমস্যা নেই সেটাও জানান। সঙ্গে বলেন, “জাতির স্বার্থে, ধর্মের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে তিনি সকলের সঙ্গে যেতে পারেন।”
সংসদে নাগরিকত্ব আইন (CAA) পাস হয়ে গেলেও তা কার্যকর করার বিষয়ে কেন্দ্র এখনও তৎপরতা দেখানো শুরু করেনি। যা নিয়ে বিগত কয়েকমাস ধরেই অসন্তুষ্ট বনগাঁর বিজেপি সাংসদ। সম্প্রতি দলের বিরুদ্ধেই বেসুরো মন্তব্য করছেন তিনি। এই সুযোগে আবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তাঁকে দলবদলের আহ্বান জানিয়েছেন। এমন একটা পরিস্থিতিতে মমতাবালার মন্তব্যের যে গভীর তাৎপর্য রয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুন: ওকে জোর করা রাজনীতিতে ঠেলা হচ্ছে, সৌরভে ‘সাবধানী’ দিলীপ
সিএএ ইস্যুতে মমতাবালা এদিন বলেন, বিজেপি বুঝতে পেরেছে মানুষ তাদের পাশে থেকে সরে গেছে। এর জন্যই তারা আইন কার্যকর করতে দেরি করছে। তাঁর আরও দাবি, “নাগরিকত্ব আইন কার্যকর না হলে ২০২১-এর ভোটে মতুয়া সমাজে একটা ব্যাপক প্রভাব পড়বে। যে কারণে কেন্দ্র সরকার ভয় পেয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করোনার আশ্রয় নিয়েছেন।”
আরও পড়ুন: অসংগঠিত শ্রমিকদের বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার নেতাজি ইনডোর চত্বরে