নদিয়া: কর্তব্যরত এক চিকিৎসকরে মারধরের ঘটনায় নদিয়ার কল্যাণী কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার এবং পড়ুয়ারা আন্দোলনে নামলেন। দুর্ঘটনায় আহত দুই রোগীকে ওই হাসপাতালের শল্য চিকিৎসা বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই ডাক্তাররা রোগীকে পরীক্ষা করার সময় এক সিনিয়র এবং জুনিয়র ডাক্তারদের রোগীর বাড়ির লোকেরা মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপরই ক্ষুব্ধ জুনিয়র ডাক্তার এবং ডাক্তারি পড়ুয়ারা সমস্ত কাজ বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলন শুর করে দেন। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই হাসপাতাল চত্ত্বরে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে শাস্তি না দেওয়া এবং তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত তারা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
শুক্রবার নদিয়ার কল্যাণী কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হাসপাতালে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে দুই ব্যক্তি ভর্তি হন। এরপর সিনিয়র এবং জুনিয়ার ডাক্তাররা ওই দুই রোগির চিকিৎসা করতে গেলে রোগির বাড়ির লোক তাদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করতে শুরু করে। এরপরই প্রতিবাদে হাসপাতালে নিজেদের সমস্ত কাজ থামিয়ে দেন জুনিয়র ডাক্তার এবং পড়ুয়ারা। তারা সটান জানিয়ে দেন যে যদি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে না পারেন তাহলে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছে যে তাদের আন্দোলন সত্ত্বেও ওই হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা স্বাভাবিকই রয়েছে।
এই ব্যাপারে ওই হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক তথা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার সৌম্য ঘরামি বলেন, ‘আমরা আজ এখানে অবস্থান বিক্ষোভ করছি তার একটাই কারণ যে আমরা ডাক্তাররা হাসপাতালে ২৪ ঘন্টা পরিষেবা দিচ্ছি নিজেদের পরিবার ভুলে রোগীদের জন্য। আর আজ ১৫জন পেশেন্ট পার্টির লোক মেল সার্জারি ওয়ার্ডে ডাক্তারকে ঘিরে ধরে তাদের কলার ধরে উপরে তুলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে মারধর করে। আমাদের প্রশ্ন একজন কর্তব্যরত ডাক্তারের গায়ে রোগির বাড়ির লোক কীভাবে হাত তুলতে পারে। দ্বিতীয়ত একটা হাসপাতালে একটা কার্ডে দুজন রোগির বাড়ির লোক ঢুকতে পারে, সেখানে ওই ওয়ার্ডে ১৫জন ঢুকল কী করে সিকিউরিটি থাকা সত্ত্বেও? হাসপাতালে অন কল কোনও পুলিশকর্মী নেই যিনি দরকারে তৎক্ষণাৎ আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারেন। আমাদের হাসপাতালের এতগুলো গেট, তাতে একজন করে সুরক্ষা কর্মী থাকলেই সমস্যা মিটে যায়, কিন্তু সেটাও নেই। একমাত্র এমারজেন্সি গেটে তিনজন সিকিউরিটি গার্ড রয়েছেন। এগুলোর সুরাহা না হলে আর দোষীদের শাস্তি না হলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা আন্দোলন করলেও কখনও জরুরী পরিষেবা বন্ধ করিনি আর করবও না। আমাদের হাসপাতালের ডাক্তাররা এখনও ২৪ ঘন্টা পরিষেবা দিয়ে চলেছেন আর চলবেনও। আমরা ইন্টার্ন, হাউজস্টাফ আর পিজিটিরা এই আন্দোলন চালাচ্ছি। আমাদের সিনিয়র ইন্টার্নরা এবং যাদের ডিউটি রয়েছে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা সুপার প্রিন্সিপাল সকলেই জানিয়েছি, তারা আসছেন। তারা সমস্যার সমাধান করলেই আমরা আন্দোলন তুলে নেব।’
অন্যদিকে অভিযুক্ত রোগির পরিবারের দাবি কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রথমে আহত রোগিকে মারধর করে, তারপরেই পরিবারের লোক ধাক্কাধাক্কি করে চিকিৎসককে। সাইফুল মণ্ডল নামে ওই রোগির এক আত্মীয় এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমাদের রোগিকে ডাক্তারবাবু যখন সেলাই করে ব্যান্ডেজ করছিল, সেই সময় রোগি ছটফট করছিল। ডাক্তার ঠাস করে রোগির গালে একটা চড় মারেন। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ির লোক রেগে যায়, তর্কাতর্কি ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। একজন রোগিকে চড় মারা কি উচিৎ ডাক্তারের? ভালভাবে বুঝিয়ে বললেই তো হত। কিন্তু এমনভাবে মারলেন যে সকলেই রেগে গেল। ঠেলাঠেলি শুরু করে। আমরা কেউই ডাক্তারকে মারিনি। ডাক্তারদের কেউই তো আহত হননি। এখন অবস্থান করলে আমরা কী করব।’ তবে খবর লেখা পর্যন্ত খবর যে পুলিশ কয়েকজন অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে গিয়েছে।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
নদিয়া: কর্তব্যরত এক চিকিৎসকরে মারধরের ঘটনায় নদিয়ার কল্যাণী কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার এবং পড়ুয়ারা আন্দোলনে নামলেন। দুর্ঘটনায় আহত দুই রোগীকে ওই হাসপাতালের শল্য চিকিৎসা বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই ডাক্তাররা রোগীকে পরীক্ষা করার সময় এক সিনিয়র এবং জুনিয়র ডাক্তারদের রোগীর বাড়ির লোকেরা মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপরই ক্ষুব্ধ জুনিয়র ডাক্তার এবং ডাক্তারি পড়ুয়ারা সমস্ত কাজ বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলন শুর করে দেন। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই হাসপাতাল চত্ত্বরে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে শাস্তি না দেওয়া এবং তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত তারা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
শুক্রবার নদিয়ার কল্যাণী কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হাসপাতালে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে দুই ব্যক্তি ভর্তি হন। এরপর সিনিয়র এবং জুনিয়ার ডাক্তাররা ওই দুই রোগির চিকিৎসা করতে গেলে রোগির বাড়ির লোক তাদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করতে শুরু করে। এরপরই প্রতিবাদে হাসপাতালে নিজেদের সমস্ত কাজ থামিয়ে দেন জুনিয়র ডাক্তার এবং পড়ুয়ারা। তারা সটান জানিয়ে দেন যে যদি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে না পারেন তাহলে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছে যে তাদের আন্দোলন সত্ত্বেও ওই হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা স্বাভাবিকই রয়েছে।
এই ব্যাপারে ওই হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক তথা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার সৌম্য ঘরামি বলেন, ‘আমরা আজ এখানে অবস্থান বিক্ষোভ করছি তার একটাই কারণ যে আমরা ডাক্তাররা হাসপাতালে ২৪ ঘন্টা পরিষেবা দিচ্ছি নিজেদের পরিবার ভুলে রোগীদের জন্য। আর আজ ১৫জন পেশেন্ট পার্টির লোক মেল সার্জারি ওয়ার্ডে ডাক্তারকে ঘিরে ধরে তাদের কলার ধরে উপরে তুলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে মারধর করে। আমাদের প্রশ্ন একজন কর্তব্যরত ডাক্তারের গায়ে রোগির বাড়ির লোক কীভাবে হাত তুলতে পারে। দ্বিতীয়ত একটা হাসপাতালে একটা কার্ডে দুজন রোগির বাড়ির লোক ঢুকতে পারে, সেখানে ওই ওয়ার্ডে ১৫জন ঢুকল কী করে সিকিউরিটি থাকা সত্ত্বেও? হাসপাতালে অন কল কোনও পুলিশকর্মী নেই যিনি দরকারে তৎক্ষণাৎ আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারেন। আমাদের হাসপাতালের এতগুলো গেট, তাতে একজন করে সুরক্ষা কর্মী থাকলেই সমস্যা মিটে যায়, কিন্তু সেটাও নেই। একমাত্র এমারজেন্সি গেটে তিনজন সিকিউরিটি গার্ড রয়েছেন। এগুলোর সুরাহা না হলে আর দোষীদের শাস্তি না হলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা আন্দোলন করলেও কখনও জরুরী পরিষেবা বন্ধ করিনি আর করবও না। আমাদের হাসপাতালের ডাক্তাররা এখনও ২৪ ঘন্টা পরিষেবা দিয়ে চলেছেন আর চলবেনও। আমরা ইন্টার্ন, হাউজস্টাফ আর পিজিটিরা এই আন্দোলন চালাচ্ছি। আমাদের সিনিয়র ইন্টার্নরা এবং যাদের ডিউটি রয়েছে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা সুপার প্রিন্সিপাল সকলেই জানিয়েছি, তারা আসছেন। তারা সমস্যার সমাধান করলেই আমরা আন্দোলন তুলে নেব।’
অন্যদিকে অভিযুক্ত রোগির পরিবারের দাবি কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রথমে আহত রোগিকে মারধর করে, তারপরেই পরিবারের লোক ধাক্কাধাক্কি করে চিকিৎসককে। সাইফুল মণ্ডল নামে ওই রোগির এক আত্মীয় এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমাদের রোগিকে ডাক্তারবাবু যখন সেলাই করে ব্যান্ডেজ করছিল, সেই সময় রোগি ছটফট করছিল। ডাক্তার ঠাস করে রোগির গালে একটা চড় মারেন। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ির লোক রেগে যায়, তর্কাতর্কি ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। একজন রোগিকে চড় মারা কি উচিৎ ডাক্তারের? ভালভাবে বুঝিয়ে বললেই তো হত। কিন্তু এমনভাবে মারলেন যে সকলেই রেগে গেল। ঠেলাঠেলি শুরু করে। আমরা কেউই ডাক্তারকে মারিনি। ডাক্তারদের কেউই তো আহত হননি। এখন অবস্থান করলে আমরা কী করব।’ তবে খবর লেখা পর্যন্ত খবর যে পুলিশ কয়েকজন অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে গিয়েছে।