পূর্ব মেদিনীপুর: মোবাইল দোকান কর্মরত মহিলা কর্মীর আপত্তিকর ভিডিয়ো তুলে দিনের পর দিন ধর্ষণ ও ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল দোকানের মালিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই মোবাইল দোকানের মালিক নীলেশ কান্তি পাঁজাকে গ্রেফতার করেছে কাঁথি থানার পুলিস। এদিন অভিযুক্তকে মহকুমা আদালত তোলা হলে জামিন নাকচ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
গত ১ সেপ্টেম্বর কাঁথি শহরের ‘চ্যানেল- ই’ নামক মোবাইল দোকানে কাজ শুরু করেন ওই অভিযোগকারী। কাঁথি শহরের কিশোরনগর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন অভিযুক্ত নীলেশ পাঁজা। কিন্তু অসুস্থতার অছিলায় তিনি তরুণীকে নিজের ঘরে আসতে বলেন। এরপর মাদক মিশ্রিত ঠান্ডা পানীয় খাইয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেখানেই থেমে না থেকে পুরো ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ড করে রাখে অভিযুক্ত। এরপর সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েই চলে ব্ল্যাকমেল। এবং ব্ল্যাকমেল করেই একাধিকবার ওই যুবতীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: অধিকারী বাড়ির সামনে দিয়ে তৃণমূলের মিছিল, স্লোগান উঠল ‘মীরজাফর, বিশ্বাসঘাতক’
নির্যাতিতার আরও দাবি, অভিযুক্ত নীলেশ ৬০ হাজার টাকা নিয়েছিল আপত্তিকর ভিডিয়ো মুছে ফেলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। যুবতীর অভিযোগ, ভিডিয়ো না মুছে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপর কাঁথি থানার পুলিসের দ্বারস্থ হয় ওই মহিলা কর্মী। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে কাঁথি থানার পুলিস অভিযুক্ত দোকানের মালিককে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: অগ্নিমিত্রাকে ‘দলবিরোধী’ মন্তব্যের জন্য শোকজ নোটিস বিজেপির