Coal Scam: কয়লা পাচারকাণ্ডে নয়া মোড়, ইসিএলের ৭ প্রাক্তন-বর্তমান আধিকারিকদের ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Jul 14, 2022 | 8:10 PM

Coal Scam: সিবিআইযের অভিযোগ কয়লা পাচারকারীদের কাছ থেকে মোটা অর্থের বিনিময়ে তাঁরা সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন। অভিযোগ, বেআইনি কয়লা কারবারি অনুপ মাজি লালার সঙ্গে ওই ইসিএল কর্তাদের সরাসরি টাকার লেনদেন ছিল।

Coal Scam: কয়লা পাচারকাণ্ডে নয়া মোড়, ইসিএলের ৭ প্রাক্তন-বর্তমান আধিকারিকদের ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত

Follow Us

আসানসোল : কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal smuggling case) জোর গতিতে তদন্তের সুতো গোটাতে শুরু করেছে সিবিআই। এরইমধ্যে সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন ও বর্তমান সাত ইসিএল (ECL) কর্তার ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক। আগামী ১৮ তারিখ তাঁদের আবার আসানসোলে বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হবে বলে জানা যাচ্ছে। ইসিএলের যেসব প্রাক্তন ও বর্তমান আধিকারিককে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া সেই তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন নিরাপত্তা আধিকারিক তন্ময় দাস, সিকিউরিটি সাব ইন্সপেক্টর দেবাশীষ মুখোপাধ্য়ায়, প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্য়ায়, প্রজেক্ট অফিসার সুভাষ চন্দ্র মৈত্র, ইসিএলের প্রাক্তন ম্যানেজার মুকেশ কুমার, সিকিউরিটি সাব ইন্সপেক্টর রিঙ্কু বেহরা, আর এক প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেডার অভিজিৎ মল্লিক। এদিন তাঁদের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর এজলাসে তোলা হয়। 

সিবিআইযের অভিযোগ কয়লা পাচারকারীদের কাছ থেকে মোটা অর্থের বিনিময়ে তাঁরা সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন। অভিযোগ, বেআইনি কয়লা কারবারি অনুপ মাজি লালার সঙ্গে ওই ইসিএল কর্তাদের সরাসরি টাকার লেনদেন ছিল। কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল তাঁদের। এদের প্রত্যক্ষ মদতেই আসানসোল দুর্গাপুর পুরুলিয়া বাঁকুড়া সহ বিভিন্ন জায়গায় খনি থেকে কয়লা তুলে পাচার করা হয়েছে। সিবিআই আইনজীবীরা এদিন বিচারকদের বলেন, কোটি টাকার ওপর লেনদেন হয়েছিল। সেই টাকা কোথায় নিয়েছিলেন? এখন সে টাকা কোথায় রাখা আছে? সেই সমস্ত তথ্য জানতে এই আধিকারিকদের হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। যদিও অভিযুক্তদের আইনজীবীদের দাবি ওই ইসিএল আধিকারিকদের বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অফিস ও বাড়িতে তল্লাশি করা হয়েছে। কিন্তু আই বহির্ভূত সম্পত্তির হদিশ সিবিআই দেখাতে পারেনি। তারপরেই সমস্ত কিছু শোনার পর বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন এবং পাঁচ দিন সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন।

ঘটনা প্রসঙ্গে অভিযুক্তদের আইনজীবী আশিষ মুখোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “গত বছর জুলাই মাসে ইসিএল আধিকারিকদের বাড়িতে ও অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। পর্যাপ্ত নথি তাঁরা নিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর যতবারই সিবিআই নিজাম প্যালেসে ওই অফিসারদের ডেকেছে তাঁরা তদন্তে সহযোগিতা করেছেন ও হাজিরা দিয়েছেন। কিন্তু হঠাত করেই একবছর পর ইসিএল আধিকারিকদের গ্রেফতার করা হল। এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।” 

Next Article