Abhishek-Suvendu: ‘১২-তে লালন, ১৪-য় পদপিষ্ট, ২১-এ কি আরও মর্মান্তিক কিছু?’, প্রশ্ন অভিষেকের

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Dec 14, 2022 | 9:43 PM

Abhishek Banerjee: অভিষেক টুইটে লেখেন,"১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে তাঁর কারণে তৈরি হওয়া বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য তিন নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২১ ডিসেম্বর কি তাহলে আরও মর্মান্তিক কিছু অপেক্ষা করছে?"

Abhishek-Suvendu: ১২-তে লালন, ১৪-য় পদপিষ্ট, ২১-এ কি আরও মর্মান্তিক কিছু?, প্রশ্ন অভিষেকের
টুইট করলেন অভিষেক

Follow Us

আসানসোল: পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই অনুষ্ঠান থেকে কম্বল বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারী প্রতীকী হিসেবে কিছু কম্বল বিলি করার পর অন্য রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য চলে যান। অভিযোগ এরপরই নাকি সেখানে কার্যত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। আর তাতেই হুড়োহুড়ির মধ্যে পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তৃণমূল শিবির।

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে বিরোধী দলনেতাকে খোঁচা দিয়ে টুইট করেছেন। লিখেছেন, “শুভেন্দু অধিকারী ১২ তারিখ, ১৪ তারিখ ও ২১ তারিখ আমাদের ‘ডিসেম্বর ধামাকার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ১২ তারিখ সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যু হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে তাঁর কারণে তৈরি হওয়া বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য তিন নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২১ ডিসেম্বর কি তাহলে আরও মর্মান্তিক কিছু অপেক্ষা করছে?”

তৃণমূল মুখপাত্র তথা শাসক দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর আসানসোলের সভায় যেভাবে তিনজন নিরপরাধ মানুষের পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে, তা দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। শুভেন্দু অধিকারী ১২ তারিখ একটি কথা বললেন, তারপর সিবিআই হেফাজতে লালনের মৃত্যু। এবার ১৪ তারিখ তিন নিরপরাধ লোক মারা গেল। গরিব মানুষকে কম্বল দেবে বলে ডেকে একটি ছোট জায়গায় বিশৃঙ্খল আচারণ। প্রশ্ন হচ্ছে এর জন্য দায়ী কে? পুলিশের অনুমতি না নিয়ে বেআইনি সভা। যদি পুলিশের অনুমতি নেওয়া হত, তাহলে সেখানে পুলিশকর্মীরা থাকতেন। তাহলে এই দুর্ঘটনাটি হয়ত ঘটত না।”

সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারও। টুইটারে তিনি লিখেছেন, আসানসোলে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় পদপিষ্ট হয়ে তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন শিশুও রয়েছে। আইন ভেঙে সভা করা অপরাধ, তাহলে বিজেপি কীভাবে এই ক্ষমতা পায়?” সরব হয়েছেন রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজাও। তিনিও টুইটারে লিখেছেন, “সেখানে কোনও পুলিশি পাহাড়ার ব্যবস্থা ছিল না। ফলত বোঝাই যাচ্ছে কোনও পুলিশি অনুমতি নেওয়া হয়নি।”

Next Article