আসানসোল: গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে আসানসোল সংশোধনাগারে সিবিআই-এর তদন্তকারীরা। এখন জেল হেফাজতেই রয়েছেন অনুব্রত। মামলার তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে সংশোধনাগারে ঢুকে অনুব্রতকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। এই নিয়ে তৃতীয় বার জেরা করা হল বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল ও জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে।
কেষ্ট যোগে এবার সিবিআই- র্যাডারে ব্যবসায়ী। শান্তিনিকেন মেডিক্যাল কলেজে অনুব্রত অনুদান কতটা? নেতার সঙ্গে আর কী আর্থিক লেনদেন? কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ বাহুবলী ঘনিষ্ঠ। সেই একই প্রশ্নের উত্তর অনুব্রতর থেকেও পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। দু’জনের থেকে পাওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে।
এদিকে, গরু পাচার মামলায় এনামুলের তিন আত্মীয়র অফিসে ফের তল্লাশি চালায় সিআইডি। কলকাতার বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের অফিসে তল্লাশি। গতকাল বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের দু’টি অফিস সিল করে দেয় সিআইডি। সেই দু’টি অফিসেই আজ ফের তল্লাশি। গতকাল ওই দু’টি অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেন সিআইডি-র তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবারের তল্লাশি চালিয়ে আরও কিছু নথি মিলতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের।
গরু পাচার মামলায় বৃহস্পতিবার আসানসোল সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় সায়গল হোসেনকে। গরু পাচার মামলায় জেল বন্দি অনুব্রত মণ্ডলের নিরাপত্তারক্ষী। এর আগে গত পয়লা সেপ্টেম্বর জেল হেফাজতে থাকা সায়গলকে আসানসোল আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। কিন্তু ওই আদালতের এক আইনজীবীর মৃত্যুর কারণে কর্মবিরতি থাকায় সেই দিন মামলার শুনানি হয়নি। সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক সায়গলকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।