Anubrata Mondal: বুকে ব্যথা কি কমল অনুব্রতর? হাসপাতাল থেকে ফিরে দুপুরে-রাতে নিরামিষে মন কেষ্টর

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Nov 21, 2022 | 12:05 AM

Anubrata Mondal: সংশোধনাগার সূত্রে খবর, আলু কুমড়োর তরকারি আর রুটি খেয়েছেন তিনি রাতে। তাও স্বল্প পরিমাণে।

Anubrata Mondal: বুকে ব্যথা কি কমল অনুব্রতর? হাসপাতাল থেকে ফিরে দুপুরে-রাতে নিরামিষে মন কেষ্টর
অনুব্রত মণ্ডল

Follow Us

আসানসোল: রবিবার সকালে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বুকে ব্যথা অনুভব করছিলেন তিনি। সকালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আসানসোল জেলা হাসপাতালে। জেল সূত্রে খবর, হাসপাতাল থেকে সংশোধনাগারে ফেরার পর তিনি ভাতের সঙ্গে নিরামিষ খাবার দাবার খেয়েছেন। যদিও রবিবার আসানসোল সংশোধনাগারের মেনুতে পাঁঠার মাংস আর ভাত থাক। কিন্তু ফিসচুলার সমস্যা থাকায় অনুব্রত মণ্ডল মাংস খান না। তাই তাঁর জন্য মাছের ব্যবস্থা থাকে। এদিন তিনি মাছও খাননি। দুপুরের দিকে খাবারের পর সামান্য ফলাহার করেছেন।

বিকেলের পর অবশ্য একটু চা খেয়েছেন তিনি। তবে দুধ চা আর তিনি খাননি। কারণ গ্যাস অম্বলের ওষুধ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। রাতেও হালকা খাবার খেয়েছেন তিনি। সংশোধনাগার সূত্রে খবর, আলু কুমড়োর তরকারি আর রুটি খেয়েছেন তিনি রাতে। তাও স্বল্প পরিমাণে। সূত্রের খবর, অনুব্রতর অবস্থা এখন তুলনায় অনেকটা স্থিতিশীল। রাতে অক্সিজেন কনসেন্টারেটর নিয়ে তিনি শুয়ে পড়েছেন বলে সূত্রের খবর। তার জন্য সংশোধনাগারের মেডিকেল ওয়ার্ডে নিবুলাইজার ও অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এদিন হাসপাতাল থেকে সংশোধনাগারে ফেরার পর অবশ্য তাঁর অক্সিজেন লেভেল ফের স্বাভাবিক হয়ে যায় বলেই জানা গিয়েছে।

এদিন সংশোধনাগারে অনুব্রত তাঁকে শারীরিক অসুস্থতার কথা জেল সুপারকে জানিয়েছিলেন। আসানসোল সংশোধনাগারে মেডিক্যাল ওয়ার্ড রয়েছে বটে। কিন্তু উন্নত চিকিৎসা পরিকাঠামোর জন্য ঝুঁকি না নিয়ে তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আসানসোল জেলা হাসপাতালে। গাড়ি থেকে নেমে সাদা পাঞ্জাবি পায়জামা পরে অনুব্রত আস্তে আস্তে হেঁটে হেঁটে হাসপাতালে ঢোকেন। অনুব্রত মণ্ডলের জন্য হাসপাতালে জোর তোড়জোড় ছিল। জরুরি বিভাগে পাশে একটি কেবিনে চলে অনুব্রতর চিকিৎসা। সেখানে সমস্তরকম শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করার যন্ত্রপাতি আনা হয়েছিল। সেখানে তাঁকে পরীক্ষা করেন জেলা হাসপাতালের তিন চিকিৎসক।

ফিজিশিয়ান চিকিৎসক দেবদীপ রায়, সার্জেন চিকিৎসক সুমন সরকার ও এমারজেন্সি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক কিরিটি নায়েক ছিলেন তাঁর দায়িত্বে। প্রায় আধ ঘণ্টার মতো তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন তিন চিকিৎসক। তাঁর সমস্ত পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাভাবিক বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময় বলেছিলেন, বুকে সামান্য ব্যথা হচ্ছিল। এখন সব ঠিক আছে।

এদিন তাঁর বডি ওয়েট করানো হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছিল, তাঁর ওজন ঠিক এই মুহূর্তে ১০০ কেজি। রক্তচাপ সহ অন্য সবকিছুই স্বাভাবিক রয়েছে। তাঁর ইসিজি পরীক্ষাও করানো হয়। সেটিও নর্মাল পাওয়া যায় বলে জানা গিয়েছে। এক্সরে করার প্রয়োজন পড়েনি। শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে অনুব্রতর। কোনও মেডিক্যাল এমার্জেন্সি নেই বলেই জানা গিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের প্রেসার মাপা হয়েছিল, তাতে ১৩৬/৮৬ পাওয়া যায়। কিন্ত সংশোধনাগারে ছিল ১৯০/৯০। যা ছিল একেবারেই অস্বাভাবিক। তবে ইডির সাড়ে ৫ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের পর থেকেই তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বলে খবর। বৃহস্পতিবারের পর থেকেই অক্সিজেন লেভেল ছিল ৮২। অর্থাৎ স্বাভাবিক ছিল না অক্সিজেন লেভেল। এদিন তাঁকে অবশ্য হাসপাতালে সরবিটেড দেওয়া হয় ও গ্যাস অম্বলের ওষুধও দেওয়া হয়। এমনিতেই অনুব্রত মণ্ডলের সুগার পেশার ফিসচুলা সহ মোট ৩৭ রকমের ওষুধ চলে।

Next Article