আসানসোল: কারখানায় বেআইনি নির্মাণের জন্য জামুড়িয়া রানিগঞ্জের ১১ টি কারখানাকে জরিমানার নোটিস করেছে আসানসোল পুরনিগম। জরিমানার পরিমাণ ৫০০ কোটি। এলাকায় গিয়ে দেখা গেল কারখানাগুলির জেরে দূষণে জেরবার গ্রামবাসীরা। কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ। অভিযোগ, সিঙ্গারণ নদী দখল করেছে একাধিক কারখানায়। কারখানার ভেতর ঢুকিয়ে নেওয়া হয়েছে নদ। দূষণের জেরে নদীর রং লাল। নদী পরিণত হয়েছে নালায়। এলাকার নীল বন দখল করে হয়েছে কারখানাগুলির বর্ধিত অংশ। দূষণের জেরে ঘরবাড়ি শুধু নয় ঐতিহাসিক জায়গাগুলিও এখন নষ্ট। শ্মশানঘাট দখল করেছ স্পঞ্জ আয়রণ কারখানা। সরকারি পাকা রাস্তা ঢুকে গেছে কারখানার ভেতর। একএকটি কারখানার বিরুদ্ধে এক এক রকমের অভিযোগ।
জামুড়িয়া ‘চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’ কর্তৃপক্ষের পক্ষেই দাঁড়ান। তাঁদের দাবি, এই শিল্প তালুক তৈরি হওয়ার পর পরিবর্তন হয়েছে জামুড়িয়া আর্থ সামাজিক অবস্থার। কিছু ভুল ত্রুটি থাকতে পারে। কারখানাগুলির বর্ধিত অংশ নির্মাণে হয়তো প্ল্যান পাশ করা হয়নি কিন্তু তাতে একদিনে হয়নি। যে পরিমাণ জরিমানা দাবি করা হয়েছে তা মাফ করা উচিত।
অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ৫০০ কোটির জরিমানা নয়, এই কারখানার গুলির বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকা জরিমানার নোটিস করা উচিত। শুধু আসানসোল পুরোনিগম নয়,বনদপ্তর,আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ, বিডিও ডিএম সবার উচিত তাদের বিরুদ্ধে জরিমান নোটিসকরা।
জামুড়িয়া চেম্বার ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি জয়প্রকাশ দোকানিয়া জানান, জামুড়িয়ায় এত কারখানা। সরকারি শিল্প তালুক ঘোষণা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন করা হয়েছিল। তিনি সাড়া দেননি। এই এলাকায় এত এত শিল্প গড়ে উঠছে ঠিকই। কিন্তু এখানে ল্যান্ড ব্যাঙ্ক নেই। রয়েছে বসতি। রয়েছে বাস্তু জমি। রয়েছে দেবত্ব সম্পত্তি। তাই এত এতো এতো শিল্প সম্প্রসারণ করতে গিয়ে কোথাও হয়তো ভুল ত্রুটি হয়ে যাচ্ছে।