আসানসোল: বাড়ির মধ্যে জ্বলন্ত উনুন রেখে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ঘুম ভাঙেনি আর। ঘুমের মধ্যেই চিরনিদ্রায় চলে গেলেন মহিলা। আর অসুস্থ হলেন সেই পরিবারেরই পাঁচ জন। অসুস্থদের মধ্যে একজন শিশুও রয়েছে। প্রত্যেকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের দক্ষিণ থানার মাহিশীলা কলোনির অরবিন্দপল্লিতে। মৃত মহিলার নাম হাসি নাথ (৪৭)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অরবিন্দপল্লিতে তিলোক নাথ পরিবার বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তিলোক ও তাঁর স্ত্রী সাধারণত রুটি তৈরি করে বিক্রি করতেন। শুক্রবার রাতে রুটি বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর উনুন নেভাতে ভুলে গিয়েছিলেন তাঁরা। সন্ধ্যায় বাড়িতে তাঁর মেয়ে জামাই নাতনিও এসেছিলেন। সবাই রাতে একসঙ্গে খাওয়া সেরে ঘুমিয়েও পড়েন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, সাধারণত সকালেই ঘুম থেকে উঠে দোকানের সামনে ঝাড় দেন তাঁরা। শনিবার সকাল আটটা -সাড়ে আটটা বাজার পরেও পরিবারের কেউ গেট না খোলায় স্থানীয় মানুষজনের সন্দেহ হয়। গেটে আওয়াজ করলেও কোনওরকম সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন পুলিশকে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ গিয়ে তালা ভেঙে দেখে, পুরো বাড়ি ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। অচেতন অবস্থায় ছ’জন পড়ে রয়েছে। তড়িঘড়ি তাXদের আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করে ও এক শিশু-সহ পাঁচ জনকে অসুস্থ অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। তাদের শারীরিক পরিস্থিতি এখন অনেকটাই ভালো বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মহিশীলা কলোনি এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে একই পরিবারের ছয় জন বাড়িতে জ্বলন্ত উনুন রেখে ঘুমিয়ে পড়েছিল। দরজা-জানলা বন্ধ থাকায় সেইভাবে অক্সিজেন বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেনি। সেই কারণে অচেতন হয়ে পড়েছিলেন বাড়ির ৬ সদস্য। তাঁদেরকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক এক মহিলাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি ৫ জন আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রত্যেকের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তবে এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মাহিশীলা কলোনি এলাকায়।