Asansol: ‘ওই মেশিনটায় যান, এটা খারাপ’, এক কাউন্টারে একাধিক মেশিন থাকলে এ অভিজ্ঞতা আমাদের অনেকেরই হয়েছে, বাড়ি ফিরতে সাহায্যের মানে বুঝলেন প্রৌঢ়

Chandra Shekhar Chatterjee | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jul 26, 2024 | 6:02 PM

Asansol: জামুড়িয়ার নিঘা এলাকার বাসিন্দা বিকাশচন্দ্র মণ্ডল। তিনি দু'দিন আগে বাড়ির অদূরের কাউন্টারেই গিয়েছিলেন টাকা তুলতে। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, তিনি যখন কাউন্টারে ঢোকেন, দুই প্রতারক আগে থেকেই সেখানে ছিলেন। তাঁদের হাবভাব ছিল সাধারণ গ্রাহকের মতোই। ওই কাউন্টারে দুটো মেশিন ছিল।

Asansol: ওই মেশিনটায় যান, এটা খারাপ, এক কাউন্টারে একাধিক মেশিন থাকলে এ অভিজ্ঞতা আমাদের অনেকেরই হয়েছে, বাড়ি ফিরতে সাহায্যের মানে বুঝলেন প্রৌঢ়
সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্ত দুই অভিযুক্ত
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

আসানসোল:  নতুন নতুন পন্থা অবলম্বনে কোনও শেষ নেই। প্রতারণা রুখতে কড়া পদক্ষেপ করছে প্রশাসন। গ্রাহকদের সচেতন করা হচ্ছে। গ্রাহকরা সচেতন হচ্ছেনও। OTP শেয়ার করা থেকে বিভিন্ন ‘ফ্রড কল এন্টারটেনিং’ কমেছে, বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরাই। কিন্তু তারপরও প্রতারিত হচ্ছেন গ্রাহকরা, বুঝতে না পেরেই। এটিএম কাউন্টারে সাহায্য করে দেওয়ার নাম করেই প্রতারণার অভিযোগ উঠল আসানসোলের মুর্গাসেলে। ডামি এটিএম দিয়ে লুঠ হয়ে গেল দু’ লক্ষ টাকা, ঘুণাক্ষরে টেরই পেলেন না গ্রাহক।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জামুড়িয়ার নিঘা এলাকার বাসিন্দা বিকাশচন্দ্র মণ্ডল। তিনি দু’দিন আগে বাড়ির অদূরের কাউন্টারেই গিয়েছিলেন টাকা তুলতে। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, তিনি যখন কাউন্টারে ঢোকেন, দুই প্রতারক আগে থেকেই সেখানে ছিলেন। তাঁদের হাবভাব ছিল সাধারণ গ্রাহকের মতোই। ওই কাউন্টারে দুটো মেশিন ছিল। বিকাশ জানান, তিনি কাউন্টারে ঢুকতেই তাঁকে ওই দুজন গাইড করে বলেন, ‘ওই মেশিনটায় যান, এই মেশিনে টাকা বেরোচ্ছে না। দেখুন না আমরা দাঁড়িয়ে রয়েছি।’  বিকাশের দাবি, তাঁকে যে মেশিনটায় পাঠিয়েছিল প্রতারকরা, আগে থেকে সেটাই খারপ ছিল। আর সেটা জেনেই পাঠিয়েছিল প্রতারকরা। এবার তিনি মিশনে কার্ড পাঞ্চ করেন, কিন্তু টাকা বেরোচ্ছিল না। অভিযোগ, প্রতারকরা তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। ‘কার্ডটা দিন দেখি’ বলে পাঞ্চ করেন। অভিযোগ, তখনই প্রতারকরা কার্ড পরিবর্তন করে নিজেদের কার্ড মেশিনে পাঞ্চ করেন। আর বিকাশকে বলেছিলেন পিন নম্বরটা দিতে। বিকাশ পিন দেন, কিন্তু টাকা বেরোয় না। তখন কার্ড নিয়ে নিজেই চলে আসেন বাড়িতে।

বিকাশের দাবি, বাড়িতে ফেরার পরই তাঁর মোবাইল নম্বরে মেসেজ ঢুকতে থাকে। তখনই দেখেন, পরপর কয়েক দফায় দু’লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।  বিকাশ পুলিশের কাছে গেলে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই কাউন্টারের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ২ জনকে শনাক্ত করে।  সাইবার থানায় পুরো বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন বিকাশ।

Next Article