আসানসোল: দিন নেই-রাত নেই বিস্ফোরণের শব্দ। খাওয়া-ঘুম সব উড়েছে এলাকাবাসীর। এবার পথে নামলেন বাসিন্দারা। খোলামুখ খনিতে বারবার বিস্ফোরণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গ্রামবাসীরা। সেই কারণে খনির কাজ বন্ধ করে দিয়ে পুনর্বাসনের দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, এভাবে চলতে থাকলে, তাঁদের পক্ষে এলাকায় থাকাই দায় হয়ে উঠবে। আধিকারিকদের ঘিরেও শুক্রবার বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে জামুড়িয়ার কেন্দা এরিয়ার খোলামুখ খনিতে।
জামুড়িয়ার কেন্দা এলাকায় এক বেসরকারি সংস্থাকে খোলামুখ খনি চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, সেই সংস্থা কোনও নিয়ম-নীতি মানছে না। বিস্ফোরণের জন্য যে ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন, তা না করেই দীর্ঘদিন ধরে বেপরোয়াভাবে বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। যার জেরে ব্যাপক দুর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দা এলাকার শালডাঙার বাসিন্দাদের।
তাঁদের অভিযোগ, বিস্ফোরণ নিয়ে বারবার একাধিক দফতরে অভিযোগ জানানো হয়েছে, কিন্তু তাতেও কোনও কাজের কাজ হয়নি। খোলা মুখ খনিতে দিন দিন অতিমাত্রায় বিস্ফোরণের জেরে বাড়ির দেওয়ালে ফাটল দেখা দিচ্ছে, ঘরের জিনিসপত্র পড়ে যাচ্ছে। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের।
দীর্ঘদিন ধরে খনি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও সমাধান না হওয়ায় শুক্রবার খনির কয়লা উত্তোলন বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কেন্দা এরিয়ার জিএম। তাঁকেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। খনির ১০০ মিটারের থেকেও কম দূরত্বের মধ্যে রয়েছে শালডাঙা আদিবাসী পাড়া ও শালডাঙা প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, গত ১০ দিন থেকে বিস্ফোরণের মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে বাড়িতে থাকার উপায় নেই। মনে হচ্ছে এই বুঝি বাড়ি ভেঙে পড়বে!
এই ব্যাপারে কেন্দা এরিয়ার জিএম শৈলেন্দ্র সিং কিছুই বলতে চাননি। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি সমস্যার সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা তাঁর গাড়ি ছেড়ে দেন।