আসানসোল: আলুর দাম নিয়ে চাপানউতোর তো চলছেই। দামের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। তারপরেও বহু জায়গাতেই বাগে আনা যাচ্ছে না চড়া দাম। নাভিশ্বাস উঠছে আম-আদমির। এরণমধ্যে রাতেই আসানসোলের বাজারে অতর্কিতে অভিযান চালালেন জেলাশাসক। তারপরই দেখা গেল শুক্রবার সকাল থেকে এক ধাক্কায় এলাকায় অনেকটাই কমে গেল দাম। এদিকে ভিন রাজ্যে আলু রফতানি বন্ধ হতেই কয়েকদিন আগেই আবার ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন আলু ব্যবসায়ীরা। তাতেই আলুর জোগান নিয়ে তৈরি হয়েছিল শঙ্কা। যদিও বর্তমানে ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে পরিস্থিতি।
এখনও রাজ্যের বহু জায়গাতেই কিলো প্রতি আলুর দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে ঘুরছে। অভিযোগ, অনেক জায়গাতেই ডামাডোলের সুযোগ নিয়ে চড়া দামে আলু বিক্রি করছেন খুচরো ব্যবসায়ীরা। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে আসানসোলের জিটি রোড সংলগ্ন মুখ্য বাজার, আসানসোল কোর্ট সংলগ্ন সবজি বাজার পরিদর্শন করেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা শাসক, মহকুমা শাসক, ডিসি সেন্ট্রাল, দক্ষিণ থানা ও টাস্কফোর্স। তারপরই দেখা গেল শুক্রবার সকাল থেকে অনেকটাই কমে গেল দাম।
শুক্রবার সকালে দেখা যায় খুচরো বাজারে এক ধাক্কায় আলুর দাম কমে ৩০ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে চলে গিয়েছে। তাতেই খুশির হাওয়া আলু ব্যবসায়ীদের মধ্যে। বিক্রেতারা বলছেন, আলুর সরবরাহ বাড়লে অচিরেই আরও কমবে আলুর দাম। অন্যদিকে কোনওভাবেই যাতে অতিরিক্ত দাম নেওয়া না হয় সে বিষয়ে বারবার ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছেন জেলাশাসক এস পেন্নাবলম। যদিও একটা অংশের ক্রেতাদের অভিযো, যখন অভিযান হয় তারপর কিছুদিন দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু দু’দিন যেতে না যেতেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ফের বাড়িয়ে দেন দাম।