পশ্চিম বর্ধমান: ভিডিয়োকাণ্ডে অবশেষে তৃণমূল নেতার প্রতি পদক্ষেপ পুলিশের। যদিও গ্রেফতার নয়, আপাতত আটক করা হয়েছে আসানসোলের ওই তৃণমূল নেতা চুনচুন রাউতকে। অন্যদিকে রবিবার অভিযুক্ত চুনচুনের বাড়ি ঘেরাও করেন নির্যাতিতের পরিবার। এদিনই কুলটি থানার পুলিশ চুনচুনকে আটক করে নিয়ে যায়। আসানসোলের বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি শনিবার টুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে লেখেন, ‘আসানসোলের কুলটি বিধানসভার এই ধরনের অমানবিক ঘটনা আমাদের সংস্কৃতির পরিপন্থী।’ যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা টিভিনাইন বাংলা যাচাই করেনি। তবে ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, এক ব্যক্তি এক যুবককে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারছেন। মারের চোটে বাঁশের কিছুটা অংশ ভেঙেও যায়। ছেলেটি উঠে এলে তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে ফের বাঁশপেটা শুরু হয়।
পরে জানা যায়, যে ব্যক্তি ওই যুবককে মারছিলেন বলে অভিযোগ, তিনি চুনচুন রাউত। স্থানীয় তৃণমূল নেতা। অভিযোগ, যে ছেলেটিকে মারধর করা হয় তাঁর নাম সোহন কুইরি। তিনিও অন্য পাড়ার একটি ছেলেকে মারধর করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগ এসেছিল তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতির কাছে। ঘটনাটি আসানসোল পুরনিগমের ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের। এই ঘটনার পরই বেপাত্তা হয়ে যান চুনচুন। যদিও রবিবার তাঁকে আটক করা হয়।
আসানসোলের কুলটি বিধানসভার এই ধরনের অমানবিক ঘটনা আমাদের সংস্কৃতির পরিপন্থী। @PTI_News @DrSukantaBJP @SuvenduWB @BJP4Bengal @anirbanganguly pic.twitter.com/Zx40VtHeW9
— Chaitali Tiwari (@ChaitaliAsansol) June 25, 2022
অন্যদিকে রবিবার নিয়ামতপুরে আক্রান্ত যুবকের সঙ্গে দেখা করেন কুলটির বিজেপি বিধায়ক অজয় পোদ্দার। তিনি এই ঘটনার অবিলম্বে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। অন্যদিকে এই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর আক্রান্ত যুবকের আত্মীয়রা ওই তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘেরাও করেন বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল এলাকায়। এদিন নিয়ামতপুর ৪ নম্বর এলাকায় কুলটি থানার পুলিশ পৌঁছয়। ঘটনাস্থলে আসেন এসিপি সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে কুলটি থানার পুলিশ তৃণমূল নেতা চুনচুন রাউতকে আটক করে।