Asansol Wrong Treatment: ভুল চিকিৎসার অভিযোগে কিশোরী মৃত্যু অভিযোগ, চিকিৎসকের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Feb 12, 2023 | 1:27 PM

Asansol Wrong Treatment: তড়িঘড়ি অসুস্থ অবস্থায় শুক্লাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।কিন্তু অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে তাঁকে দুর্গাপুরে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Asansol Wrong Treatment: ভুল চিকিৎসার অভিযোগে কিশোরী মৃত্যু অভিযোগ, চিকিৎসকের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ
চিকিৎসকের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ

Follow Us

আসানসোল: ভুল চিকিৎসার অভিযোগে কিশোরী মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। চিকিৎসকের বাড়ির সামনে মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ দেখালেন মৃতের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা। ডাক্তারের বাড়িতে ও ক্লিনিকে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। মৃত নাবালিকার নাম শুক্লা মণ্ডল(১৭)। জানা যাচ্ছে, তিনি একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। বারাবনি বিধানসভার লালগঞ্জের বাসিন্দা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিস্থিতির সামাল দিতে যায় আসানসোল উত্তর থানা ও কন্যাপুর ফাঁড়ির বিশাল বাহিনী। মৃত কিশোরীর মা রিঙ্কু মণ্ডলের অভিযোগ সামান্য শরীর খারাপ নিয়ে গত ২৯ জানুয়ারি রবিবার লালগঞ্জের স্থানীয় চিকিৎসক দ্বিজেন ভুঁইঞার কাছে নিয়ে আসা হয় শুক্লা মণ্ডলকে। অভিযোগ, ঠিকমত না দেখেই কিছু ওষুধ লিখে দেন ও একটি ইনজেকশন দেন। তারপর থেকেই শুক্লার শরীর আরও খারাপ হয়ে পড়ে। তাঁর মুখ থেকে ফ্যানা বের হতে থাকে ও জ্বর বেড়ে যায়।

তড়িঘড়ি অসুস্থ অবস্থায় শুক্লাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।কিন্তু অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে তাঁকে দুর্গাপুরে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে শুক্লাকে প্রথম দিন যে চিকিৎসক দেখেছিলেন, তিনি কী ওষুধ ইনজেকশন দিয়েছিলেন, সেই প্রেসক্রিপশন দেখতে চান ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই প্রেসক্রিপশন দেখতে না পারার জন্য ঠিক কী রোগ হয়েছে তা নির্ণয় করা যাচ্ছিল না। কিন্তু রোগী পরিবার প্রেসক্রিপশন দেখাতে পারেননি। তাঁদের দাবি, চিকিৎসক প্রেসক্রিপশনও হাতে দেননি। শনিবার বিকালে মৃত্যু হয় শুক্লার। তবে এই বিষয়ে মুখ খোলেননি চিকিৎসক দ্বিজেন ভুঁইঞা। সাংবাদিকদের দেখেই দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। তবে অনেক প্রশ্নের পরে ডাক্তার দ্বিজেন ভুঁইঞার ছেলে চন্দন বলেন, “দিন কয়েক আগে চিকিৎসার জন্য ওই মেয়েকে নিয়ে আসা হয়। বাবা সাধারণ চিকিৎসা করেন। ওঁরা আরও অনেক জায়গায় চিকিৎসা করিয়েছেন কিন্তু দোষ বাবাকে দেওয়া হচ্ছে।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Next Article