আসানসোল: অনুব্রত মামলা চলাকালীন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর কাছে যায় হুমকি চিঠি। যে চিঠি নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই জোর চর্চা চলছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। এদিকে এবার হুমকি চিঠি কাণ্ডে দেখা গেল নয়া মোড়। আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার বর্ধমানের আইনজীবী। অভিযুক্ত আইনজীবীর নাম সুদীপ্ত রায়। সুদীপ্ত রায় বর্ধমান জেলা আদালতের আইনজীবী বলে খবর। তাঁর মোবাইল ট্র্যাক করে আসানসোল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, চিঠি পাওয়ার পরই বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সিবিআই আদালতের পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। গোটা ঘটনার কথা জানানো হয় দুর্গাপুরের (Durgapur) পুলিশ কমিশনারের কাছেও। এদিকে এরপরেই এ ঘটনায় উঠে আসে জনৈক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের নাম। কয়েকদিন আগেই বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। গত শুক্রবার আসানসোল জেলা আদালতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রান্তিক রঞ্জন বসুর কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়েছিলেন বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়। ১৬৪ নম্বর ধারায় এই গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছিল বাপ্পার। তবে শুরু থেকেই বাপ্পা দাবি করেছিলেন তিনি নির্দোষ। তাঁর দাবি ছিল তাঁকে ফাঁসানোর জন্যই এই কাজ করেছে কেউ। বাপ্পাই তখন বর্ধমানের আইনজীবী সুদীপ্ত রায়ের কথা বলেন।
যদিও সেই সময় আইনজীবী সুদীপ্ত রায় টেলিফোনে জানান, “আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। বাপ্পা তৃণমূল সংগঠন করে আর আমি বিজেপি করি। উদ্দ্যেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাকে এই মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।” সূত্রের খবর, রাজেশ চক্রবর্তীকে যে চিঠি পাঠানো হয় তাতে সাফ বলা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন দিতে হবে। অন্যথায় বিচারক ও তাঁর পরিবারকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এদিকে এ চিঠির আসল রহস্য জানতে অনুব্রত নিজেও তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। অবশেষে এবার সুদীপ্তর গ্রেফতারির পর তা নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে চর্চা। এদিকে বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে খবর সুদীপ্তর বারের সদস্যপদ এখন আর রিনিউয়াল হয়নি।