আসানসোল: কয়লাকাণ্ডে যুক্ত থাকায় সিবিআই গ্রেফতার করে ইসিএলের প্রাক্তন সিএমডি সুনীল কুমার ঝা ও সিআইএসএফ ইন্সপেক্টর আনন্দ কুমারকে। ধৃতদের আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে আনা হল। কলকাতার নিজাম প্যালেস থেকে ধৃতদের সকাল ৮ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ আনা হয় আসানসোলে। এই প্রথম ইসিএলের এতো বড় আধিকারিক গ্রেফতার হল। পাশাপাশি সিআইএসএফ বাহিনীরও প্রথম কেউ গ্রেফতার হল প্রথমবার। এর আগে ইসিএলের ৮ অধিকারিক গ্রেফতার হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা ছিলেন জিএম পদ মর্যাদার ছিলেন। সুনীল কুমার ঝা ইসিএলের ডাইরেক্টর অপারেশন ছিলেন।
২০১৮ সালে কয়েক মাসের জন্য সুনীল কুমার ঝা ইসিএলের ভারপ্রাপ্ত সিএমডি ছিলেন। সিআইএসএফ ইন্সপেক্টর আনন্দ কুমার ওই সময় শীতলপুরে কর্মরত ছিলেন। বেআইনি কয়লা কারবারের লিঙ্কম্যান ছিলেন আনন্দ কুমার। অভিযোগ ওই সময় বেআইনি কয়লা কারবারি, কোল কিং অনুপ মাজি ওরফে লালার কাছে আর্থিক সুবিধা পেয়েছিলেন ওই দু’জন। এর আগে ইসিএলের টাস্ক ফোর্স অফিসার ও ইসিএলের নিজস্ব সিকিউরিটি অফিসার গ্রেফতার হয়েছেন।
১৪০ দিন জেলে থাকার পর ধৃত ৮ ইসিএল আধিকারিক এখন জামিনে মুক্ত আছেন। ধৃত কয়লা মাফিয়া জয়দেব মণ্ডল, নারায়ণ খড়কা, নিরোদ মণ্ডল, গুরুপদ মাজি ও বিকাশ মিশ্ররা গ্রেফতারের পর জেলে ছিলেন। এখন হাইকোর্ট থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্ত পেয়েছেন তাঁরা। লালার সাগরেদ কোল মাফিয়া রত্নেশ ভর্মা দু’বছর পলাতক থাকার পর আত্মসমর্পণ করেছিল। এখন তিনি আসানসোল জেলে আছে ১০০ দিন ধরেন।
অনুপ মাজি ওরফে লালা সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচে রয়েছেন। কয়লা কাণ্ডে ইসিএল মোট ৪৩ জনের নামে চার্জশিট পেশ করেছিলেন। ধৃত সুনীল ঝাঁ ও আনন্দ কুমারকে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়।