রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া সমস্যা, রূপনারায়ণপুর আইটিআইয়ে খোলা হল কোভিড পরিষেবা কেন্দ্র

May 13, 2021 | 7:55 PM

গত কয়েকদিনে সালানপুর, রূপনারায়ণপুর, চিত্তরঞ্জন শহরে করোনার (COVID-19) সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে।

রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া সমস্যা, রূপনারায়ণপুর আইটিআইয়ে খোলা হল কোভিড পরিষেবা কেন্দ্র
নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

পশ্চিম বর্ধমান: রূপনারায়ণপুর আইটিআইয়ে এবার কোভিড (COVID-19) পরিষেবা কেন্দ্র। আসানসোলের সালানপুর ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে রূপনারায়ণপুর আইটিআই কলেজে ২১ শয্যার কোভিড-১৯ পরিষেবা কেন্দ্র খোলা হল। এই মুহূর্তে ভয়ঙ্কর ভাবে বাংলায় আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সংক্রমিতকে নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়াটা ক্রমেই কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠছে। এ পরিস্থিতিতে এলাকায় সেফ হোম, আইসোলেশন সেন্টার কিংবা কোভিড পরিষেবা কেন্দ্র গড়ে রোগীদের চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সে পথেই হাঁটল আসানসোল।

গত কয়েকদিনে সালানপুর, রূপনারায়ণপুর, চিত্তরঞ্জন শহরে করোনার সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। অনেকের পক্ষেই ঘরে থেকে চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। সে কথা মাথায় রেখেই সালানপুরের ব্লক আধিকারিকরা এই পরিষেবার কথা ভেবেছেন। জানা গিয়েছে, প্রথমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ১০টি বেড নিয়ে পরিষেবা কেন্দ্র খোলা হবে। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বেডের সংখ্যা বাড়িয়ে ২১টি করা হবে। এখানে অক্সিজেন সহ ওষুধ থাকবে। পাশাপাশি নার্স ও চিকিৎসক আনানো হবে পিঠাইকেয়ারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে।

আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহ থেকেই বাজারে স্পুটনিক ভি, টিকাকরণে আরও এক ধাপ এগোবে ভারত

যে সমস্ত মানুষ করোনা আক্রান্ত হবেন, তাঁরা পিঠাইকেয়ারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিজেদের চিকিৎসা করিয়ে হোম আইসোলেশনে যেতে পারেন বা এই পরিষেবা কেন্দ্রে আসতে পারেন। একইসঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে এখানেই প্রায় ১০০ মানুষের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় বলেন, “আমাদের এখানে খুবই সংক্রমণ বেড়েছে। অন্য জায়গায় রোগীকে রেফার করলে নিয়ে যাওয়ারও সমস্যা। তাই পিঠাইকেন্দ্র থেকে দরকার হলে এখানেই চলে আসতে পারবেন রোগী। সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে। ডাক্তারবাবুরা একাধিকবার এসে রোগীকে দেখে যাবেন। নার্স থাকবেন। খাবারের ব্যবস্থাও আমরাই করব। পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে আমরা এখানে পরিষেবা দেব। প্রয়োজন বুঝে বেডের সংখ্যা বাড়াতেও পারি।” প্রাথমিক ভাবে সালানপুর ব্লকের লোকজনই এখানে পরিষেবা পাবেন।

Next Article