AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Durgapur: ক্রেনের ম্যাগনেট ছিঁড়ে পড়ল, ধড় থেকে আলাদা হয়ে গেল মাথা

Durgapur: শ্রমিকদের অভিযোগ, রবিবার রাতের শিফটে কাজ করছিলেন অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে ওই তিন শ্রমিক। তখনই কারখানার ভেতর ক্রেন থেকে ম্যাগনেট পড়ে যায়। সায়নের মাথায় ম্যাগনেট পড়ে। ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায় সায়নের মাথা।

Durgapur: ক্রেনের ম্যাগনেট ছিঁড়ে পড়ল, ধড় থেকে আলাদা হয়ে গেল মাথা
কারখানায় মর্মান্তিক ঘটনা!Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 11, 2025 | 12:34 PM
Share

দুর্গাপুর:  ক্রেনের ম্যাগনেট ছিঁড়ে পড়ল শ্রমিকের মাথায়। ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেল মাথা। ভয়ঙ্কর ঘটনা কাঁকসার বামুনাড়া শিল্প তালুকের বেসরকারি পাইপ তৈরির কারখানায়। ঘটনাস্থলে কাঁকসা থানার পুলিশ। মৃত শ্রমিকের নাম সায়ন যাদব (২৫)। দুর্গাপুরের সগড়ভাঙা এলাকার বাসিন্দা। আশঙ্কাজনক আরও দুই শ্রমিক। ক্ষতিপূরণের দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন শ্রমিকরা। উত্তেজনা ছড়ায় কারখানার গেটে। ঘটনাস্থলে কাঁকসা থানার পুলিশ এবং আইএনটিটিইউসি কোর কমিটির সদস্যরা।

শ্রমিকদের অভিযোগ, রবিবার রাতের শিফটে কাজ করছিলেন অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে ওই তিন শ্রমিক। তখনই কারখানার ভেতর ক্রেন থেকে ম্যাগনেট পড়ে যায়। সায়নের মাথায় ম্যাগনেট পড়ে। ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায় সায়নের মাথা। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তার। আরও দুই শ্রমিক গুরুতর জখম হয়। সায়নের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । আশঙ্কাজনক এক শ্রমিককে দুর্গাপুরে বিধাননগরের একটি বেসরকারি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে এবং আরও এক শ্রমিককে শোভাপুরে একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।

শ্রমিকদের অভিযোগ, নিরাপত্তার অভাবে বারে বারে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। তাঁরা চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। নিরাপত্তার অভাবেই এই ঘটনা বলে অভিযোগ উঠছে। আরও দুই শ্রমিকের অবস্থা সঙ্কটজনক । কারখানায় চিকিৎসক নেই, নেই কোনও অ্যাম্বুলেন্স । রাতে ঘটনা ঘটলেও এখনও পর্যন্ত কারখানা কর্তৃপক্ষেরও দেখা নেই।

এক শ্রমিকের বক্তব্য, “আমরা যে এখানে কাজ করি, তার কোনও প্রমাণ নেই। আমাদের আই কার্ড প্রয়োজন। মৃতের পরিবারের সদস্যকে কাজ দেওয়া হোক। এটাই চাইছি।”

আইএনটিটিইউসি কোর কমিটির সদস্য রাজেশ কোনার বলেন, “এখন পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগে। অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। এই মৃত্যুর দায় কে নেবে! পরিবারটাই তো নিঃস্ব হয়ে গেল। আগামী দিনে এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, সেটাই কথা বলে দেখা হচ্ছে। প্রত্যেকের আইডি কার্ড, ন্যায্য পাওনা সব যেন পায়, সেটাই দেখছে শ্রমিক সংগঠন।”