Durgapur CPIM: লোন নিয়ে কেনা সেলাই মেশিনগুলো চোখের সামনে ঝলসে গেল! মাথায় হাত সিপিএম কর্মীর মেয়ে ফিরোজার
Durgapur: ফিরোজা খাতুনের দাবি তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। লোন নিয়ে চারটি সেলাই মেশিন কিনেছিলেন। এই রোজগারেই কোনও রকমে সংসার চলত। দোকানে কয়েকজন কাজও করতেন। ফিরোজার অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে এই ঘটনায়।

দুর্গাপুর: সেলাইয়ের দোকান খুলে এলাকার মহিলাদের দিশা দেখিয়েছিলেন ফিরোজা। দুর্গাপুরের দুই নম্বর ওয়ার্ডের মহুয়াবাগান এলাকার বাসিন্দা ফিরোজা খাতুনের এখন চোখে জল। জ্বলে গেল গোটা দোকান। পুড়ে গেল ধার নিয়ে কেনা সেলাই মেশিনগুলো। লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পরের দিনই এমন ঘটনা। আঙুল উঠছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ফিরোজার বাবা মহম্মদ আলি শেখ মহুয়াবাগান এলাকার সিপিএমের পোলিং এজেন্ট ছিলেন। অভিযোগ, সেই কারণেই ফিরোজার সেলাইয়ের দোকান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মহম্মদ আলি শেখের অভিযোগ লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই নানা ভাষায় হুমকি দেওয়া হত তাঁকে। ভোটের দিন বারবার ছাপ্পা দেওয়ার চেষ্টা রুখে দিয়েছিলেন বলেও দাবি মহম্মদ আলির। আর সেই ভোটের ফল প্রকাশের পরই কেউ বা কারা জ্বালিয়ে দিল মেয়ের দোকান! লোন নিয়ে চারটি সেলাই মেশিন কিনেছিলেন মেয়ে ফিরোজা। পাড়ার বেশ কয়েকজন মহিলা সেই দোকানে কাজ করে সংসার চালাতেন। তিনি বলেন, ‘সর্বনাশ করে দিল তৃণমূলের বাহিনী।’
ফিরোজা খাতুনের দাবি তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। লোন নিয়ে চারটি সেলাই মেশিন কিনেছিলেন। এই রোজগারেই কোনও রকমে সংসার চলত। দোকানে কয়েকজন কাজও করতেন। ফিরোজার অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে এই ঘটনায়। তিনি বলেন, ‘ব্যাঙ্কে লোন আছে আমার, সেগুলো মেটাবে কী করে! কাস্টমারদের শাড়ি-জামা পুড়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়ে গিয়েছে।’
তবে তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের দাবি, তৃণমূল এই ধরনের কাজ করতেই পারে না। এই কাজ বিজেপির বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা পুলিশকে বলা হবে।’
