এবার ‘দুয়ারে অক্সিজেন’ নিয়ে হাজির ‘ফুডম্যান’ চন্দ্রশেখর কুণ্ডু

সৈকত দাস |

May 10, 2021 | 6:34 PM

রাজ্যে প্রথম করোনার ঢেউয়ে গরিব পড়ুয়াদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন আসাসোলের 'ফুডম্য়ান' চন্দ্রশেখর কুণ্ডু। এবার তিনি হাজির দুয়ারে অক্সিজেন নিয়ে

এবার দুয়ারে অক্সিজেন নিয়ে হাজির ফুডম্যান চন্দ্রশেখর কুণ্ডু
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

আসানসোল: রাজ্যে প্রথম করোনা (Corona) ঢেউয়ে গরিব পড়ুয়াদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন আসানসোলের ‘ফুডম্য়ান’ চন্দ্রশেখর কুণ্ডু। আমফান বিধ্বস্ত সুন্দরবনেও মাসের পর মাস পড়ে থেকেছেন তিনি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়েও গরিবের পাশে দাঁড়ালেন আসানসোলের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এই শিক্ষক। এবার তিনি দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দিচ্ছেন অক্সিজেন।

আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া এলাকা আসানসোলের পলাশডিহা ও সরাগডিহি। এলাকার বেশিরভাগ মানুষই দিনমজুরের কাজে যুক্ত। কিন্তু করোনা আবহে তাঁরা এখন প্রায় বেকার। অসুস্থ হয়ে পড়লে একমাত্র সম্বল ছিল সরকারি হাসপাতাল। কিন্তু তাও এখন করোনা রোগীতে পরিপূর্ণ। তাই বেশিরভাগ রোগীকে ঘরেই রাখতে হচ্ছে। এই অবস্থায় এলাকার মানুষদের জন্য দুয়ারে চিকিৎসা নিয়ে এলেন ‘ফুডম্যান’ চন্দ্রশেখর কুণ্ডু।

এর আগে দুঃস্থদের জন্য তিনি দৈনিক খাবারের জন্য খাদ্য ব্যাঙ্ক তৈরি করেছেন। লকডাউনে গরিব পরিবারের ছেলেমেয়েদের জন্য করেছেন পড়াশোনার ব্যবস্থা। আমফানে দিনের দিনের পর দিন ত্রাণ নিয়ে পড়েছিলেন সুন্দরবনে। এবার তিনি ও তাঁর বন্ধুরা আসানসোলের প্রত্যন্ত এলাকায় নিয়ে এলেন ‘দুয়ারে অক্সিজেন প্রকল্প’।
মেডিকেল টিম ও অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে বাড়িকেই কার্যত আইসোলেশন সেন্টারের রূপ দিলেন তাঁরা।

পলাশডিহা ও সরাগডিহা গ্রামে ব্যবস্থা করেছেন আপাদকালীন চিকিৎসার কাজের।তাছাড়া প্রতিটি পরিবারে করোনার মেডিকেল কিট পৌঁছে দিয়েছেন। অক্সিজেন সিলিন্ডার কীভাবে অপরেট করতে হয় তার ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে গ্রামে। ইসিএলের মেডিকেল টিমের সাহায্য নিয়ে গ্রামে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছেন আসানসোলের ফুডম্যান।

ফুডম্য়ান থেকে কীভাবে শুরু হল অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের কাজ?

চন্দ্রশেখর কুণ্ডু জানান, দিল্লিতে অক্সিজেনের অভাবের খবর শুনে পশ্চিম বর্ধমানে অক্সিজেন প্ল্যান্ট ও সরবরাহকারীর খোঁজে নেমে পড়েন। পানাগড়, ওয়ারিয়া, রানিগঞ্জের অক্সিজেন প্ল্যান্টগুলির গুলির সন্ধান পান তিনি। তারপর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের মাধ্যমে নিজের ফোন নম্বর ছড়িয়ে দেন।

আরও পড়ুন: ‘টাইম’ ম্যাগাজিনে ‘উদীয়মান নেতা’দের তালিকায় চন্দ্রশেখর আজাদ 

চেষ্টা শুরু হয় অক্সিজেন যেখানে পাওয়া যায় দরকারে তাঁদের সঙ্গে যাতে যোগাযোগ হয়। এভাবে প্রতিদিন ছ’শোর বেশি ফোন পান চন্দ্রশেখরবাবু। রোগীদের প্রেসক্রিপশন দেখে এবং কথা বলে অক্সিজেন সরবরাহের কাজ শুরু করেন। এভাবেই অতিমারিতে সহায়-সম্বলহীন পরিবারের পাশে দাঁড়িসে সাহস জোগাচ্ছেন ফুডম্যান।

Next Article