Asansol: বিনামূল্যে দেওয়া হবে ঘর, খবর চাউর হতেই আবেদন জমা দেওয়ার হিড়িক

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Jun 23, 2022 | 5:52 PM

Asansol: গরিবদের আবাসন দেওয়া হবে, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে হঠাৎ গুজব! বিনা নোটিশে হাজার হাজার আবেদন জমা দেওয়ার হিড়িক। বিশৃঙ্খলা আসানসোল পৌরনিগমে।

Asansol: বিনামূল্যে দেওয়া হবে ঘর, খবর চাউর হতেই আবেদন জমা দেওয়ার হিড়িক
ছবি - তীব্র চাপান-উতর আসানসোল পৌরসভায়

Follow Us

আসানসোল: আচমকাই শোনা গিয়েছিল পৌরসভা থেকে গরিব-দুঃস্থদের জন্য দেওয়া হবে আবাসন। মুখমন্ত্রীর জেলা সফরের আগে ছড়িয়ে পড়ল গুজব। হঠাৎ করেই হাজার হাজার আবেদন জমা পড়তে শুরু করলে, বিপাকে পড়ে আসানসোল পৌরনিগম (Asansol Municipality) কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে কার্যত পৌরনিগমের অফিস ছেড়ে পালিয়ে যান ডেপুটি মেয়র। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে পুরনিগমের বাইরে ড্রপবক্সের ব্যবস্থা হলেও তাতে বিশ্বাস করতে চাননি আবেদনকারীরা। তাদের অভিযোগ চোখে ধুলো দিতেই ড্রপবক্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আসলে আবেদন কেউই জমা নিচ্ছেন না। ফের শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ।

সূত্রের খবর, আসানসোল পৌরনিগমের পক্ষ থেকে দরিদ্র মানুষদের জন্য বাংলা আবাস যোজনায় বাড়ি দেওয়া হচ্ছে, এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। তাতেই ছড়াল চাঞ্চল্য। এ খবর চাউর হতেই ভিড় বাড়তে থাকে আসানসোন পুরনিগমে। অনেকেই নিজেদের দরিদ্র বলে দাবি করে বাড়ি চাইতে শুরু করেন। সকলের হাতেই আবেদন পত্র। এদিকে সাধারণ মানুষের কাছে খবর যায় পৌরসভার তরফেই দেওয়া হচ্ছে বাড়ি, কিন্তু এরকম কোনও নির্দেশিকার কথা নাকি জানেনই না পৌরসভার আধিকারিকারিকেরা। আসানসোল পৌরনিগমের ডেপুটি মেয়র আবেদনকারীদের স্পষ্টতই জানিয়ে দেন , পৌরনিগমের পক্ষ থেকে এমন কোনও নোটিশ কখনওই জারি করা হয়নি। তবে বাসিন্দারা কেন আসছেন আবেদনপত্র নিয়ে? পুর কর্তৃপক্ষের দাবি কিছু মানুষ রয়েছেন যারা আসানসোল পৌর নিগম সুস্থভাবে চালাতে দিতে চান না। তারা এই ধরনের গুজব ছড়াচ্ছেন।

অন্যদিকে আসানসোল পৌরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য আবেদন করলেই সবাইকে বাড়ি দিতে হবে এমন কোন মানে নেই। উত্তর আসানসোলে ৬০০ বাড়ি তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে আবেদন জমা পড়েছে কয়েক হাজার। সুতরাং আগামী দিনে যাদের প্রয়োজন তাঁদেরকে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে লটারির মাধ্যমে বেছে নেওয়া হবে উপভোক্তাদের। যদিও বাসিন্দারা কোনও কিছু মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি গতকাল আবেদন পত্র জমা নেওয়া হয়েছে। দেওয়া হয়েছে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র। তাই নতুন আবেদনপত্র জমা পড়লে দিতে হবে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র। এ দাবিতেই এদিন বাসিন্দারা বিক্ষোভ শুরু করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের আবেদন একটি ড্রপবক্স এর মধ্যে জমা নেওয়া শুরু করে পৌরনিগম। তবে তাতে বাসিন্দারা খুশি হতে পারেননি। তাঁদের দাবি ছেলে ভোলানোর জন্য ড্রপবক্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আদতে আবেদনগুলি জমাও হবে না। হয়তো ফেলে দেওয়া হবে। তবে দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে এলাকাবাসীরা কী করেন এখন সেটাই দেখার। 

Next Article