আসানসোল : একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে শিল্পবান্ধব পরিবেশের বার্তা তুলে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী যেখানে রাজ্য শিল্পের কথা তুলে ধরেন সেখানে তাঁর দলেরই বিধায়কের নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু হল জামুড়িয়া শিল্প তালুক এলাকায়। আন্দোলনের মঞ্চে কারখানা কর্তৃপক্ষকে হুঁশিয়ারিও দিলেন তিনি।
বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার অভিযোগ তুলে জামুড়িয়ার বেসরকারি কারখানায় বিক্ষোভ দেখালেন জামুড়িয়ার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হরেরাম সিং। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও স্থানীয়দের জমায়েত করে ওই কারখানার বাইরে বিরাট বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। আন্দোলনের মঞ্চে কারখানা কর্তৃপক্ষকে কার্যত হুমকি দেন বিধায়ক। হিন্দি প্রবাদ ‘ভেইস কো ডাণ্ডা দি খানা জরুরী’ উল্লেখ করে তিনি কারখানা কর্তৃপক্ষের প্রতি কার্যত হুঁশিয়ারি দেন। এমনকী কারখানার এক ঠিকাদার যাকে বিজেপির কর্মী দাবি করে ‘দেখে নেওয়ারও’ হুমকি দিলেন তৃণমূল এই বিধায়ক।
শাসক দলের কর্মী ছাঁটাই, ভিন রাজ্যের ভোটার কার্ড হোল্ডারদের বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে চাকরি দেওয়া ও বিজেপি সমর্থকদের অত্যধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এই ধরণের মারাত্মক অভিযোগ তুলে কারখানার গেটের বাইরে ধর্না বিক্ষোভ প্রদর্শিত হল সোমবার। তৃণমূল কংগ্রেসের ১৫ জন কর্মী সমর্থককে কাজে পুনর্বহালের দাবি তুলেন বিধায়ক।
জামুড়িয়া শিল্পতালুকের সুপার স্মেল্টার লিমিটেড কারখানার গেটের বাইরে এই বিক্ষোভ হয়। তিনি অভিযোগ করেন কারখানায় বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি সমর্থক বেশকিছু যুবককে কাজ দিলেও ১৫ জন তৃণমূল সমর্থকদের কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেও কোনও সমাধান না পেয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে বলে তিনি জানান।
এরপর সরাসরি অভিযোগ করে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “শুধু সুপার না জামুড়িয়ার সমস্ত কারখানা স্থানীয় বেকারদের কাজ না দিয়ে অন্য রাজ্যের বেকার যুবকদের কাজ দিচ্ছে।” শেষ পর্যন্ত মালিকপক্ষ ওই ছাঁটাই কর্মীদের পুনর্বহাল করার আশ্বাস দিলে ধর্না তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ মঞ্চে বিধায়ক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জামুড়িয়ার ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সাধন রায়, সেখ দিলদার,মৃদুল চক্রবর্তী সহ আরও অন্যরা।