আসানসোল: আর তো কয়েকটা দিন। তার মধ্যেই রয়েছে পুর ভোট। আঁট-ঘাট বেঁধে শাসক বিরোধী প্রত্যেকে নেমেছে লড়াইয়ের ময়দানে। তবে অভিনবত্ব দেখা গেল তৃণমূলের ভোট প্রচারে। একবারে ঘোড়া ছুটিয়ে নেমে পড়েছেন প্রার্থী। নাহ! এ ঘোড়া কিন্তু অশ্বমেধের যজ্ঞের নয়, কুলটির ঘোড়া গাড়ি। কেউ বলেন টাঙা কেউ বা এক্কা গাড়ি। আর গাড়িকে সাজানো হয়েছে দলীয় পতাকা আর প্ল্যাকার্ডে। গ্রামে-গ্রামে ছুটছে সেই গাড়ি। গাড়িটির ভিতর বেজে উঠছে মাইক। আসানসোল পুরনিগমের ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনের প্রচারে দেখা গেল এরকম প্রস্তুতি।
হঠাৎ কেন এই ধরনের উদ্যোগ?
তৃণমূল জেলা এসসিএসটি সেলের সভাপতি মোহন ধীবর বলেন, “ঘোড়ার গাড়ি প্রচারের কাজে লাগানোর দু’টি উদ্দেশ্য। প্রথমত, গ্রাম বাংলায় আজও আকর্ষণীয় ঘোড়ার গাড়ি। দ্বিতীয়ত, ঘোড়ার গাড়ি ইকোফ্রেন্ডলি। অর্থ্যাৎ দূষণ হয় না এই যানে। সেই কারণ এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
এক্কা গাড়ির চালক আখতার আলম বলেন, “ঘোড়ার নাম সোনু। সোনুর বয়স এখন আট। তবে আমি ৪০ বছর ধরে ঘোড়ার গাড়ি চালাচ্ছি। কুলটির স্টেশন রোডে এই গাড়ি চলে। কিন্তু এখন সমস্যা হচ্ছে টোটো চলে আসায়। আমাদের রোজগার কমে গিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “উজ্জ্বলবাবু কুলটির বিধায়ক ছিলেন। পুরচেয়ারম্যান ছিলেন। এখন প্রার্থী হয়েছেন। তাঁরই হয়ে আমার গাড়ি ছুটছে। আমাদের নিবেদন ঘোড়ার গাড়ি আজ সঙ্কটে। আমাদের নির্দিষ্ট রুট করে দেওয়া হোক। ঘোড়গুলো বয়স হয়ে গেলে প্রতিবন্ধী হয়ে রাস্তা ঘুড়ে বেড়ায়। দুর্ঘটনার শিকার হয়। তাঁদের জন্য একটা গোশালার আবেদন রাখছি।”
এরপর তিনি বলেন, “কুলটির ঘোড়ার গাড়ির ঐতিহ্যই আলাদা। পেট্রোল-ডিজ়েল একশো টাকা মূল্য ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাই এক্কা গাড়ির ব্যবহার আমরা শুরু করেছি।” তাঁর কটাক্ষ, “মোদী সরকারের জন্য হয়তো আমাদের মোটর গাড়ি ছেড়ে ফের গরুর গাড়িতে চড়তে হবে। এক্কা গাড়ি প্রচারের কাজে ব্যবহার হলে আমাদেরও দুপয়সা ইনকাম হয়। সবদিক বিবেচনা করেই এই গাড়ির ব্যবহার। তবে ঘোড়ার গাড়ির মালিকদের সমস্যা নিশ্চই উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়কে জানানো হবে।”
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
আসানসোল: আর তো কয়েকটা দিন। তার মধ্যেই রয়েছে পুর ভোট। আঁট-ঘাট বেঁধে শাসক বিরোধী প্রত্যেকে নেমেছে লড়াইয়ের ময়দানে। তবে অভিনবত্ব দেখা গেল তৃণমূলের ভোট প্রচারে। একবারে ঘোড়া ছুটিয়ে নেমে পড়েছেন প্রার্থী। নাহ! এ ঘোড়া কিন্তু অশ্বমেধের যজ্ঞের নয়, কুলটির ঘোড়া গাড়ি। কেউ বলেন টাঙা কেউ বা এক্কা গাড়ি। আর গাড়িকে সাজানো হয়েছে দলীয় পতাকা আর প্ল্যাকার্ডে। গ্রামে-গ্রামে ছুটছে সেই গাড়ি। গাড়িটির ভিতর বেজে উঠছে মাইক। আসানসোল পুরনিগমের ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনের প্রচারে দেখা গেল এরকম প্রস্তুতি।
হঠাৎ কেন এই ধরনের উদ্যোগ?
তৃণমূল জেলা এসসিএসটি সেলের সভাপতি মোহন ধীবর বলেন, “ঘোড়ার গাড়ি প্রচারের কাজে লাগানোর দু’টি উদ্দেশ্য। প্রথমত, গ্রাম বাংলায় আজও আকর্ষণীয় ঘোড়ার গাড়ি। দ্বিতীয়ত, ঘোড়ার গাড়ি ইকোফ্রেন্ডলি। অর্থ্যাৎ দূষণ হয় না এই যানে। সেই কারণ এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
এক্কা গাড়ির চালক আখতার আলম বলেন, “ঘোড়ার নাম সোনু। সোনুর বয়স এখন আট। তবে আমি ৪০ বছর ধরে ঘোড়ার গাড়ি চালাচ্ছি। কুলটির স্টেশন রোডে এই গাড়ি চলে। কিন্তু এখন সমস্যা হচ্ছে টোটো চলে আসায়। আমাদের রোজগার কমে গিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “উজ্জ্বলবাবু কুলটির বিধায়ক ছিলেন। পুরচেয়ারম্যান ছিলেন। এখন প্রার্থী হয়েছেন। তাঁরই হয়ে আমার গাড়ি ছুটছে। আমাদের নিবেদন ঘোড়ার গাড়ি আজ সঙ্কটে। আমাদের নির্দিষ্ট রুট করে দেওয়া হোক। ঘোড়গুলো বয়স হয়ে গেলে প্রতিবন্ধী হয়ে রাস্তা ঘুড়ে বেড়ায়। দুর্ঘটনার শিকার হয়। তাঁদের জন্য একটা গোশালার আবেদন রাখছি।”
এরপর তিনি বলেন, “কুলটির ঘোড়ার গাড়ির ঐতিহ্যই আলাদা। পেট্রোল-ডিজ়েল একশো টাকা মূল্য ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাই এক্কা গাড়ির ব্যবহার আমরা শুরু করেছি।” তাঁর কটাক্ষ, “মোদী সরকারের জন্য হয়তো আমাদের মোটর গাড়ি ছেড়ে ফের গরুর গাড়িতে চড়তে হবে। এক্কা গাড়ি প্রচারের কাজে ব্যবহার হলে আমাদেরও দুপয়সা ইনকাম হয়। সবদিক বিবেচনা করেই এই গাড়ির ব্যবহার। তবে ঘোড়ার গাড়ির মালিকদের সমস্যা নিশ্চই উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়কে জানানো হবে।”