দুর্গাপুর: পেশায় চাকুরিজীবী। পুরসভায় কর্মরত। সেই পুরকর্মীর মায়ের মৃত্যু হয়েছে কয়েকদিন আগে। নিয়ম করে তাঁর শ্রাদ্ধের কাজও চলছিল। কিন্তু তার মধ্যেই বিপত্তি! শ্রাদ্ধের প্যান্ডেলে যে ত্রিপল ব্যবহার করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে ‘বিশ্ব বাংলা’ লোগো। ব্যাস! বিষয়টি চোখে পড়ার পর থেকেই হইচই। সরকারি লোগো লাগানো সেই ত্রিপল কোথা থেকে পেলেন ওই পুরকর্মী?
ঘটনাস্থল পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টার। দুর্গাপুর নগর নিগমের চার নম্বর বোরোর কর্মী শুভ দত্ত। শুভবাবুর মা মারা যান বেশ কয়েকদিন আগে। তাঁরই পারলৌকিক কাজ ছিল। সেখানেই দেখা গেল শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানে প্যান্ডেল হয়েছে বিশ্ব বাংলার লোগো লাগানো সরকারি ত্রিপল দিয়ে। আর সেই ছবি ধরা পড়া মাত্রই গলদঘর্ম অবস্থা দুর্গাপুর নগর নিগমের চার নম্বর বোরোর কর্মী শুভ দত্তর।
যে সরকারি ত্রিপল পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল দুর্গত মানুষজনদের হাতে, সেই ত্রিপল কি না ব্যবহার হচ্ছে নগর নিগমের পুরকর্মীর মায়ের পারলৌকিক কাজের প্যান্ডেলে? বিরোধীরা এই রকমই গুচ্ছ-গুচ্ছ অভিযোগ তুলছে।
ডেকরেটর কর্মীর দাবি সরকারি এই ত্রিপল দিয়েছে বাড়ির মালিক অর্থাৎ দুর্গাপুর নগর নিগমের চার নম্বর বোরো অফিসের কর্মী শুভ দত্ত। আর শুভবাবু কী বলছেন? কোথা থেকে পেলেন তিনি এই ত্রিপল? “কীভাবে এই সরকারি ত্রিপল মায়ের পারলৌকিক কাজে চলে এল বুঝতে পারছি না। হতে পারে ডেকোরেটর কর্মী এনেছে। কে সত্যি কে মিথ্যে তার বিচার প্রশাসন করবে।
এই বিষয়ে দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটা বড় অন্যায়। এই কাজ যদি সত্যিই কেউ করে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হবে। আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।” অপরদিকে, দুর্গাপুরের দু’নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় বলেন,”পার্টির কাছে ত্রিপল আসেই না।সরকারি বণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে সেই লোকটিকে দেওয়া হয় দল এই কাজকে সমর্থন করে না।”