ইন্ডাস্ট্রিয়াল অক্সিজেনই আজ ভরসা শিল্পাঞ্চলের করোনা রোগীদের, অমিল সিলিন্ডার

অক্সিজেন উৎপাদিত হলেও এ রাজ্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার তৈরি হয় না। সিলিন্ডার প্রস্তুত হয় মূলত গুজরাট ও মুম্বইয়ে। কিন্তু সেখানে সঙ্কট রয়েছে অক্সিজেনের। তাই সিলিন্ডারের চাহিদাও ব্যাপক। আবার বাংলায় রয়েছে পর্যাপ্ত অক্সিজেন প্ল্যান্ট। অথচ মিলছে না সিলিন্ডার!

ইন্ডাস্ট্রিয়াল অক্সিজেনই আজ ভরসা শিল্পাঞ্চলের করোনা রোগীদের, অমিল সিলিন্ডার
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 10, 2021 | 12:28 AM

আসানসোল: করোনা (Corona) তাণ্ডবে ত্রস্ত দেশে অক্সিজেনের চাহিদা তুঙ্গে। সেই একই পরিস্থিতি বাংলার শিল্পাঞ্চল পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। করোনায় শ্বাসকষ্টজনিত রোগীদের প্রাণ বাঁচাতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত অক্সিজেনের (Oxygen)। শিল্পাঞ্চলে অক্সিজেনের যোগান রয়েছে, কিন্তু মিলছে না সিলিন্ডার।

জেলার বার্নপুর ইস্কো ও দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের পাশাপাশি বেসরকারি অক্সিজেন প্ল্যান্টগুলিতে সারাবছর ধরে শিল্পের প্রয়োজনে অক্সিজেন উৎপাদন হয়। কিন্তু এখন কোভিড পরিস্থিতিতে সেই অক্সিজেন সরবরাহ হচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ও হেলথ সেন্টারগুলিতে। সকাল থেকে রাত, অক্সিজেন নিতে গাড়ির লম্বা লাইন কারখানার বাইরে। এমনকি বাদ নেই সাধারণ মানুষও। তাঁরাও ভিড় জমাচ্ছেন কারখানার বাইরে। শুধু অক্সিজেনের জন্য। আসানসোল ঝাড়খণ্ড সীমানার রূপনারায়ণপুরে বেঙ্গল অক্সিজেন কারখানায় এখন প্রতিদিনের চেনা দৃশ্য।

কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, সিলিন্ডার আনলে তবেই মিলবে অক্সিজেন। প্রয়োজন পড়লে তাঁরা বিনামূল্যে অক্সিজেন সাপ্লাই দিতেও প্রস্তুত কিন্তু সঙ্গে আনতেই হবে সিলিন্ডার। অক্সিজেন উৎপাদিত হলেও এ রাজ্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার তৈরি হয় না। সিলিন্ডার প্রস্তুত হয় মূলত গুজরাট ও মুম্বইয়ে। কিন্তু সেখানে সঙ্কট রয়েছে অক্সিজেনের। তাই সিলিন্ডারের চাহিদাও ব্যাপক। আবার বাংলায় রয়েছে পর্যাপ্ত অক্সিজেন প্ল্যান্ট। অথচ মিলছে না সিলিন্ডার!

আসানসোল শিল্পাঞ্চলের অক্সিজেন কারখানাগুলি থেকে জেলার হাসপাতাল ছাড়াও অক্সিজেন যাচ্ছে পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডেও। জেলাশাসকের নির্দেশে ইন্ডাস্ট্রির জন্য বরাদ্দ অক্সিজেন কাঁটছাট করে পাঠানো হচ্ছে শুধু স্বাস্থ্য পরিষেবায়। এক একটি কারখানা থেকে শুধুমাত্র জেলাপ্রশাসনের জন্য দৈনিক ২৫০টি করে সিলিন্ডার বরাদ্দ রয়েছে।

আরও পড়ুন: রাজ্যে অমিল রেমিডেসিভির, বাংলাদেশ থেকে আমদানির আবেদন সোরেনের

এদিকে পশ্চিম বর্ধমানের করোনা-চিত্রও ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে। জেলাজুড়ে কোভিড আক্রান্ত্রের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৭ হাজার। মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২২০। অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার। এই পরিস্থিতিতে করোনা রোগীর জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত অক্সিজেনের। এদিকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অক্সিজেনের ৮ লিটার এবং ৫ লিটারের সিলিন্ডারই চিকিৎসার একমাত্র ভরসা।