ED Raid In Asansol: লোহাচুরির মামলায় গ্রেফতারও হয়েছিলেন, তৃণমূলের সেই সোহারাবের বাড়িতেই এবার IT

Chandra Shekhar Chatterjee | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Dec 13, 2023 | 11:31 AM

ED Raid In Asansol: জানা গিয়েছে, সৌরভের বাড়িতে সকাল পাঁচটা নাগাদ পৌঁছেছেন গোয়েন্দারা। গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলেছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এ দিকে, প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে গোয়েন্দারা পৌঁছতেই ধরা পড়ল উৎসুক মানুষের ভিড়।

ED Raid In Asansol: লোহাচুরির মামলায় গ্রেফতারও হয়েছিলেন, তৃণমূলের সেই সোহারাবের বাড়িতেই এবার IT
সৌরভ আলী, প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক
Image Credit source: Telegraph

Follow Us

আসানসোল: বুধবার সকাল-সকালই অ্যাকশনে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। আসানসোলে চলছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিরর অভিযান। প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সোহারাব আলীর বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন আয়কল দফতরের আধিকারিকরা। সোহারাবের  স্ত্রী আবার আসানসোল পুরনিগমের কাউন্সিলর। এর পাশাপাশি বার্নপুরের এক প্রোমোটার ইমতিয়াত আলীর বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছেন গোয়েন্দারা। তবে ঠিক কী কারণে তল্লাশি অভিযান চলছে

জানা গিয়েছে, সোহারাবের বাড়িতে সকাল পাঁচটা নাগাদ পৌঁছেছেন গোয়েন্দারা। গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলেছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এ দিকে, প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে গোয়েন্দারা পৌঁছতেই ধরা পড়ল উৎসুক মানুষের ভিড়। সৌরভের দুটি বাড়িতেই গিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সম্ভবত, সৌরভ এবং তাঁর স্ত্রী দু’জনই বাড়িতে রয়েছেন। ভিতরে গোয়েন্দা আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তল্লাশি অভিযানও চালাচ্ছেন।

কে এই সোহারাব আলী?

হীরাপুরের শেখ আলীর ছেলে সোহরাব আলী। শেখ আলী পেশায় গাড়ির চালক হলেও তাঁর মূল ব্যবসা ছিল লোহার। সেইসূত্র ধরেই সোহরাব আলি লোহার কারবারে নামেন। অভিযোগ, লোহার ব্যবসার আড়ালে ধরমপুরে বেআইনি কাঁটা চালানো,বার্নপুরে রেল ওয়াগেন ব্রেকিং করা, ইস্কো কারখানায় লোহার স্ক্র্যাপের বেআইনি ধান্দা সহ নানা আভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। লোকসভা ভোটে কখনও নির্দল প্রার্থী কখনও লালু প্রসাদের হাত ধরে আরজেডিতে নাম লিখিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। পুরভোটে নির্দলে দাঁড়িয়ে সিপিএমের তাহের হুসেনকে হারিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়া পরে আরএসপিতে যোগদান করেন। শেষে আরএসপি ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূলে। ২০১১ সালে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে রানিগঞ্জের বিধায়ক হন। ১৯৯৫ সালে আরপিএফ একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় নাম জড়ায় তাঁর। কুড়ি বছর ধরে মামলা চলেছিল। অভিযোগ উঠেছিল, রেলের ওয়াগান চুরি করেছেন সোহারাব। সেই মামলায় ২০১৫ সালে সাজা পান তিনি। তবে বিধায়ক থাকার দরুন একদিনেই জামিনে মুক্তি মেলে তাঁর। এরপর আর টিকিট পাননি সোহারাব। পরবর্তীকালে প্রোমোটারিতে ঢুকে যান। তাঁর এই আর্থিক প্রতিপত্তির হিসাব নিকেশ দেখতেই গোয়েন্দাদের হানা বলে মনে করা হচ্ছে।

 

 

Next Article