Jitendra Tewari: কম্বলকাণ্ডে আবারও জেরার মুখে জিতেন্দ্রর স্ত্রী চৈতালি, তদন্তে সাত আধিকারিক

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 26, 2022 | 12:07 PM

Jitendra Tewari: জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালিকে জিজ্ঞাসাবাদ আসানসোল পুলিশের । শনিবার ২ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

Jitendra Tewari: কম্বলকাণ্ডে আবারও জেরার মুখে জিতেন্দ্রর স্ত্রী চৈতালি, তদন্তে সাত আধিকারিক
ফের জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ

Follow Us

আসানসোল: আসানসোলে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর  কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় ফের জিজ্ঞাসাবাদ। জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালিকে জিজ্ঞাসাবাদ আসানসোল পুলিশের । শনিবার ২ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শেষে চতুর্থ নোটিস ধরানো হয়েছিল চৈতালির হাতে। সেইমত সোমবার সকাল এগারোটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চলার কথা রয়েছে। সকাল ১০ টা ৫০ নাগাদ দুই এসিপি, মহিলা থানার ওসি, উত্তর থানার ওসি, গোয়েন্দা বিভাগের দুই অফিসার, সহ মোট সাত পুলিশ আধিকারিক ও দুই ভিডিওগ্রাফার ঢোকেন জিতেন্দ্র -চৈতালির বাড়িতে।

শনিবার বিজেপি নেত্রী চৈতালি তিওয়ারির বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ। আসানসোল কম্বল বিতরণ-কাণ্ডে  মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় চৈতালিকে। এক টানা ২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। আর এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন চৈতালি তিওয়ারি স্বামী তথা আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি।

এ দিন তিনি অভিযোগ করে বলেন, “জেরা করার নামে চৈতালি তিওয়ারিকে মানসিক ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। আর এটা পুলিশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে খুশি করতে।”
প্রাক্তন মেয়রের দাবি, “হাইকোর্ট একমাত্র এই মামলার তদন্তকারী অফিসার বা আইওকে জেরা করার কথা বলেছিল। কিন্তু এদিন সাতজন অফিসার আমার ঘরে চৈতালিকে জেরা করেছে। যা হওয়া অনুচিত। হাইকোর্ট ২ ঘন্টা জেরা করার কথা বলেছিল। তা বলে ২ ঘন্টা জেরা করতেই হবে? কম সময় একটু করা যেত না? একজন মহিলাকে এইভাবে জেরা করা যায়? চৈতালি তিওয়ারি তো ক্রিমিনাল নয়।” জিতেন্দ্র আরও বলেন, “ওই জেরা করার পরে চৈতালি অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

উল্লেখ্য, ১৪ ডিসেম্বর আসানসোল পুরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের রেলপারের রামকৃষ্ণ ডাঙালে শিবচর্চা ও মেগা কম্বল বিতরণ করার এক অনুষ্ঠান হয়। বকলমে, এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তিওয়ারি। এই ঘটনায় পদপিষ্ট হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়। মৃত একজন ঝালি বাউরির ছেলে সুখেন বাউরি পরের দিন আসানসোল উত্তর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ একটি মামলা করে। অনিচ্ছাকৃত খুন সহ তিনটি ধারায় একটি এফআইআর হয়। তাতে জিতেন্দ্র তিওয়ারি, চৈতালি তিওয়ারি সহ নির্দিষ্ট করে ১০ জনের নাম ছিল। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ৬ জনকে।

Next Article